ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তর পরবর্তী যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে রাখা ভাষণে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই নির্বাচনে মানুষের সতস্ফুর্ততা লক্ষ্য করা গেছে। মানুষ তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করেছে। কারণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিলো কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। কমিশনের দিন রাতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যারা ভোটে অংশ নেয়নি তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা এদেশেরই জনগণ। আমি জানি আপনাদের ওপর ওহী নাযিল হয়েছে জ্বালাও পোড়াও করার। ওদিকে একজন (তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে) লন্ডনে বসে আয়েশ করে পায়েস খায় আর এখানে কর্মীদের মাঠে নামায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয় না। তারা একটা সময়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষের ওপর হামলা করেছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে। অনেক সাংবাদিক তাদের হামলায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি। শেখ হাসিনা বলেন, রাতে সিল মারার অপবাদ দেয়ার কোনো সুযোগ এবার ছিলোই না কারণ প্রতি কেন্দ্রে ব্যালট গেছে নির্বাচনের দিন সকালে। স্বতন্ত্রদের নিয়ে কোনো অভিযোগ অনুযোগ থাকবে না বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা বড় খেলা খেলতে চেয়েছে তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার তাদের হাতে তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে তা এবার প্রমাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে যেন আর কারো কাছে হাত পেতে চলতে না হয় তার জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কোন বিদেশি মাস্টার নেই, দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের মাস্টার। এসময় পেছনে শত্রু আছে তাই কোনো দ্বন্দ্ব সংঘাত না করে সতর্ক থেকে দেশের কল্যাণে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
পঁচাত্তর পরবর্তী সবথেকে সুশৃঙ্খল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: শেখ হাসিনা
0
Share.