ঢাকা অফিস: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে গাড়ি পার্কিং ও চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইজতেমায় সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হন। এ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্ব আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ২য় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইজতেমা চলাকালে খিলক্ষেত থেকে আদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
ইজতেমায় আগতদের যানবাহন রাখার ঢাকার স্থান:
১) ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ, ৫ নং ব্রিজের ঢালে।
২) সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ। ৩) রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১০ নং ব্রিজ এবং ১১ নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্বে ১৬ নং সেক্টরের ভেতর এবং বউবাজার মাঠ।
৪)বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
৫) ঢাকা মহানগরী : ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা।
গাজীপুর মহানগর এলাকায় পার্কিং স্থান :
১) ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়, চৌরাস্তা, গাজীপুর, ২) উত্তরবঙ্গ ও টাঙ্গাইল হতে আসা যানবাহন পার্কিং : ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, চৌরাস্তা, গাজীপুর,
৩) মিরের বাজার রাস্তা দিয়ে গাজীপুরগামী যানবাহন পার্কিং : পুবাইল কলেজ, পুবাইল, গাজীপুর,
৪) সরকারি যানবাহন : টঙ্গীর টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) এবং টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠ।
নির্ধারিত স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক ও হেলপারকে গাড়িতে অবস্থান করতে হবে এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। যেসব স্থানে পার্কিং করা যাবে না : উত্তরার খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আখেরি মোনাজাতের আগের রাত অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত আব্দুল্লাহপুর হতে ভোগড়া বাইপাস এবং মিরের বাজার হতে স্টেশন রোড পর্যন্ত উভয়মুখী রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ইজতেমার শুরুর দিন হতে অর্থাৎ ১ম পর্ব ২ ফেব্রুয়ারি হতে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ২য় পর্বে ৯ ফেব্রুয়ারি হতে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মন্নু গেইট হতে কামারপাড়া রোড বন্ধ থাকবে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী ভিআইপি/ভিআইপি/বিদেশি মুসুল্লিদের বহনকারী যানবাহনগুলো উত্তরার বিএনএস টাওয়ার হতে টঙ্গী ফ্লাইওভার হয়ে স্টেশন রোডে নেমে মন্নু গেইট কামারপাড়া রোড ব্যবহার করবেন। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। অনুরূপভাবে নবীনগর , বাইপাইল, আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আসা যানবাহনসমুহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রুসং পরিহার করে সাভার গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। অথবা ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমুহ কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে প্রগতি সরণী হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেইট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে ৩০০ফিট দিয়ে আগত যানবাহনসমুহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সারণী এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী-মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দও সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমানক্রু বহনকারী যানবাহন ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহন চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয়সরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসুল্লিগণ পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে যাবেন তাদের তুরাগনদীর উপরে বেইলী ব্রিজ অথবা কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করতে বলা হয়েছে।