স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে জর্ডানের কাছে হারের পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান কোচের পদ থেকে ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানকে ছাঁটাইয়ের সুপারিশ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (কেএফএ) জাতীয় দল পরিচালনা কমিটি। সেই সুপারিশ মোতাবেক দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক এক বছরের মাথায় তাকে প্রধান কোচের পদ থেকে বহিষ্কার করলো কেএফএ। কেএফএ সভাপতি চুং মং-গাইয়ু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশদ পর্যালোচনার পর জাতীয় দলের কোচ পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএফএ। দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা এবং কৌশলগত জায়গায় জাতীয় দলের কোচ হিসেবে যেমনটা প্রত্যাশা ছিল, ক্লিন্সমান তা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধান কোচ হিসেবে ক্লিন্সমানের আচরণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মানসিকতা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও তা পূরণ হবে না বলে সবাই মনে করছেন। এ কারণে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে আমরা নেতৃত্ব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই বিষয়টা সম্ভবত বুঝতে পেরেছিলেন ক্লিন্সমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘সব খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং কোরিয়ার সব ফুটবল সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ, আমরা এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে উঠেছি। গত ১২ মাসের অভিযাত্রাও অবিশ্বাস্য ছিল। টানা ১২ ম্যাচে হারিনি। লড়াই চলুক। ’ এর আগে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্লিন্সমানকে কোচ করে আনে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে কোচ হিসেবে কখনো সেভাবে দলটির সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি এই জার্মান কিংবদন্তি।
প্রধান কোচের পদ থেকে ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানকে ছাঁটাই করলো দক্ষিণ কোরিয়া
0
Share.