ডেস্ক রিপোর্ট: হোয়াইট হাউসে গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের অধিকাংশ অংশ জুড়ে ছিল আগের প্রেসিডেন্টদের সমালোচনা। ১ ঘন্টা ১৮ মিনিটের ভাষণে অন্য প্রেসিডেন্টদের কোথায় কোথায় গলদ ছিল তা তুলে ধরেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমার আগে আসা নেতাদের মতো আমি কথা দিয়ে কথা ভাঙি না।” তবে বক্তৃতায় তার বিরুদ্ধে চলমান ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি। খোঁটা দেন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদেরও। এদিকে অ্যামেরিকার অন্যতম ক্ষমতাশালী ডেমোক্র্যাট নেত্রী, বর্তমান হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির প্রতি তার বিরক্তি ছিল লক্ষণীয়। ভাষণ শুরুর আগে পেলোসি ট্রাম্পের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। চার মাস আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান পেলোসি। তারপর দুজনের এটাই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ। সৌজন্যতা দেখাতে পেলোসি হাত বাড়িয়ে দিলেও ট্রাম্প তাকে পাত্তাই দেননি। ভাষণে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সকেও খোঁটা দেন ট্রাম্প। অনিবন্ধিত অভিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান বিষয়ে ডেমোক্র্যাট অবস্থানের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। সেই সময় তার বক্তব্য মিথ্যা, তা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন পেলোসি। পরে, ট্রাম্পের একাধিক দাবিকে প্রকাশ্যে মিথ্যা বলে তোপ দাগান পেলোসি। ট্রাম্পের ভাষণ যখন প্রায় শেষ, তখনই উঠে দাঁড়িয়ে সেই বক্তব্যের একটি কপি ছিঁড়ে ফেলেন পেলোসি। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ওই মূহুর্তে আমার কাছে আর যা যা করণীয় ছিল, তার মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে সভ্য প্রতিক্রিয়া।” মঙ্গলবার ট্রাম্প ও পেলোসির মধ্যে শুধুই দ্বিমত লক্ষণীয় ছিল না, অবকাঠামোয় লগ্নি বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যকে সমর্থন করে হাততালি দেন পেলোসি। এ বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট গোষ্ঠী একসাথে কাজ করে আসছে বলেই পেলোসির এমন আচরণ, মনে করছেন অনেকে। ট্রাম্পের ভাষণের প্রত্যুত্তরে মিশিগানের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি গ্রেচেন হুইটমার অবশ্য পেলোসির মত প্রকাশ্য-বিবাদে না জড়িয়ে বলেন, ‘‘বিষয়টা খুবই সহজ। আমরা মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চাইছি। আর রিপাবলিকানরা তা কেড়ে নিতে চাইছে।”
বাড়ানো হাত ফিরিয়ে দিলেন ট্রাম্প
0
Share.