শনিবার, নভেম্বর ২৩

সব মজুতদারদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: শেখ হাসিনা

0

ঢাকা অফিস: খাদ্যপণ্য লুকিয়ে রেখে যারা দাম বাড়ায় সেই সব মুজতদারদের গণধোলাই দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্য, অবৈধ মজুত ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ বছর ধরে যে পরিবর্তন এসেছে তা তো স্বীকার করবেন। ভাতের জন্য হাহাকার ছিল। একটু নুন ভাত। একটু ফ্যান চাইত। এখন তা চায় না। ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো। আপনার কী মনে হয় না দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সরকার উৎখাতে আন্দোলনকারীদের তাদেরও কিছু কারসাজি আছে?’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব। দেখা গেল বস্তার পর বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলোর কী করা উচিত, আপনারাই বলুন কী করা উচিত। তাদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। জিনিস লুকিয়ে রেখে পচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। আর উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদাও বেড়েছে। ’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজান আসে কৃচ্ছ্রতা সাধনের জন্য, কিন্তু আমাদের এখানে রমজান আসলে খরচ বেড়ে যায়। মানুষের চাহিদা বেড়ে যায়। ’ আগামী ৫ বছর দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিতে চান এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে চায় সরকার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেভাবে মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, তা কিন্তু অন্য কারও নেই। অন্য সব দল ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে গড়ে উঠেছে একমাত্র দল আওয়ামী লীগ যা জনগণের ভেতর থেকে গড়ে উঠেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে আমি উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যে সব রকমের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের করার আহ্বান জানিয়েছি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ এবং স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশন বিশ্বের কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এগুলো বন্ধ করার জন্য আমি বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। ’ মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপের প্রত্যেক দেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কারণে একটা সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা আমাকে বলেনি। তারা নিজেরাই জানত যে, নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায়নি (যে আমি জয়ী হই) তারাই প্রশ্ন ওঠায়। পাকিস্তানের নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, এক দেশে ফল ঘোষণা করতে ১২-১৩ দিন লাগলেও সেই ইলেকশন ফ্রি-ফেয়ার। আর বাংলাদেশে এত সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সাথে সাথে ২৪ ঘণ্টা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যে দেশ রেজাল্ট দিতে পারল সেটা ফ্রি-ফেয়ার না! এই রোগের কোনো ওষুধ আমাদের কাছে নাই। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে (সোমবার) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

Share.