স্পোর্টস রিপোর্ট: কোপা আমেরিকা ও কাতার বিশ্বকাপে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ক্লাব ফুটবলেও সেই ছাপ রেখে যাচ্ছেন তিনি। তবে নিজেকে সামলানোর ব্যাপারে বেশ উদাসীন এই তারকা। এবার উয়েফা তার ওপরে নিষেধাজ্ঞার খড়গ চাপিয়েছে। পরপর দুই ম্যাচে তিনটি হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষককে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইউরোপা কনফারেন্স লিগের দ্বিতীয় লেগে নির্ধারিত সময়ে খেলায় ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৩-৩ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে গোলবারে বাজিমাত করেন মার্টিনেজ। নির্ধারিত সময়ে ব্যবধান না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে নিজের ঝলক দেখান মার্টিনেজ। দুর্দান্ত দুটি পেনাল্টি সেভ করে দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে। এ আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে গত কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ফ্রান্স। তাই তার প্রতি ক্ষোভ ছিল ফরাসি সমর্থকদের। লিলের সমর্থকরা শুরু থেকেই তাকে দুয়োধ্বনি দিচ্ছিলেন। সেটার জবাব তিনি দিয়েছেন লিলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে আসা নাবিল বেনতালেবের শট ঠেকিয়ে। এসময় লিল সমর্থকদের উদ্দেশে করে তিনি চুপ থাকার ইশারা করেন। তার ব্যঙ্গমূলক আচরণে বিরক্ত হয়ে একটা সময় হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি। যা ছিল ম্যাচটিতে তার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। নির্ধারিত সময়ের খেলায় কালক্ষেপণ করে প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেছিলেন তিনি। এর আগের লেগেও একবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক। তাতে পরপর তিনটি হলুদ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। তাতে আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ। এ দিকে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দুটি হলুদ কার্ড দেখেও তাকে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়নি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের খেলা আর টাইব্রেকারের কার্ড আলাদাভাবে গণ্য করা হয়। ফলে লিলের খেলোয়াড়রা আবেদন করেও লাভ হয়নি। বরং লিলের হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা বেনজামিন আন্দ্রের শট ঠেকিয়ে ফরাসি সমর্থকদের একবারে চুপ করিয়ে দেন তিনি। ঠিক যেন কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাভিত্তি করলেন। আর তাতে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা
নিষিদ্ধ হলেন বাজপাখি খ্যাত এমিলিয়ানো মার্টিনেজ
0
Share.