গ্রেপ্তার ও সহিংসতার মাঝেই চলছে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। বুধবার (১ মে) ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস এঞ্জেলেস ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর ইসরায়েলের পক্ষের শিক্ষার্থীরা আক্রমণ চালিয়েছে এবং এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং প্রতিবাদরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু উঠিয়ে দিয়েছে। খবর রয়টার্সের। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিডিওতে ইসরায়েলের পক্ষের শিক্ষার্থীদেরকে লাঠি হাতে ফিলিস্তিনের পক্ষের শিক্ষার্থীদের দিকে ধেয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ ডাকার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন ব্লক ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে গ্রেপ্তার এবং বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ব্লক বলেন, ফিলিস্তিনের পক্ষের শিক্ষার্থীদের জমায়েতকে অবৈধ ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পর তাদের ওপর একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এদিকে, হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন লস এঞ্জেলেস শহরের মেয়র ক্যারেন বেস এবং এবং ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসোম। হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা রয়টার্সের এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি লস এঞ্জেলেসের পুলিশ এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাত ১১টার দিকে হামলার সূত্রপাত হয় এবং দুই-তিন ঘণ্টাব্যাপী এটা চলে। এদিকে, নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যামিল্টন হল দখল করে বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনের সমর্থক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে শহরটির পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু তাঁবু উঠিয়ে দেয়া হয়, যা দেখে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। কলম্বিয়া এবং সিটি কলেজ অব নিউ ইয়র্ক থেকে ৩০০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন শহরটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ এবং ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হলোকাস্ট স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে ইহুদীবিদ্বেষ নিয়ে বক্তৃতা দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভের বিষয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জ্যা পিয়েরে জানান, সবারই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। কিন্তু জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন দখল করা শান্তিপূর্ণ নয়।

Share.