ডেস্ক রিপোর্ট: প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ সিঙ্গাপুরে তার শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস। আক্রান্ত ৩৯ বছরের ওই প্রবাসী বাংলাদেশির শরীরে প্রথম এ ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায় গত ১ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ৫ ফেব্রুয়ারি আবারও ডাক্তার দেখান। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের টান টক সেনগ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে দ্রুত তাকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস (এনসিআইডি)-এর আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন। রবিবার সিঙ্গাপুর সরকারের বিবৃতিতে দেশটিতে নতুন করে তিন জনকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করার কথা জানানো হয়। এ তিন জনের মধ্যে ওই বাংলাদেশির নামও রয়েছে। তবে তাদের কারও সম্প্রতি বা ইতোপূর্বে চীন সফরের কোনও প্রমাণ মেলেনি। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের পর এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩। উৎপত্তিস্থল চীনে ইতোমধ্যে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। সরকারি হিসাবে, ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৮। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪০ হাজার ১৭১ জন। মৃত ও আক্রান্তদের অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে এতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তিও চীনা নাগরিক। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিক
0
Share.