শনিবার, নভেম্বর ২৩

নির্বাচনের দাবিতে আগামী মার্চ-এপ্রিলে রাজপথে নামছে বিএনপি

0

ঢাকা অফিস: আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সেটি না হলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছেন দলটির নেতারা। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় একাধিক সদস্য নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার বক্তব্য এবং তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কারও কারও কার্যক্রম নিয়ে সংশয়ের কথাও জানান কেউ কেউ। সভা চলাকালে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনের জন্য সরাসরি দাবি না করে আমরা মার্চ কিংবা এপ্রিলেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব বলতে পারি। শুধু তাই নয়; কি প্রক্রিয়ায় সেটা সম্ভব সে বিষয়ে যথাযথ যুক্তি জাতির সামনে তুলে ধরতে পারি। এই নেতার মতের ভিত্তিতে অপর নেতারা নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে হবে? কি প্রক্রিয়ায় ঘোষণা করা উচিত- তা বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তাব দেন। এতে সম্মতি দেন সভার প্রধান নেতা তারেক রহমান। বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমরা দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। সরকারের উচিত রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা কাটিয়ে তোলা।’ সভায় প্রশাসনে বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্টদের পদায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ এনে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে দায়ী করা হয়। তাঁরা মনে করেন, আলী ইমাম মজুমদারকে সরকারে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একই সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধ জামায়াত এক ধরনের নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন নেতা। তাঁরা বলেন, প্রশাসনে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত এক হয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটি কমিশনার হিসেবে কাদের নিয়োগ দেওয়া যায়, এ নিয়ে চারটি নাম প্রস্তাব করতে চিঠি দিয়েছে। সার্চ কমিটির চিঠি অনুযায়ী বিএনপির পক্ষ থেকে চারজনের নাম প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত হয় স্থায়ী কমিটির সভায়। বৈঠকে নতুন ভোটারতালিকা তৈরির বিপক্ষে মত দিয়ে নেতারা তালিকা হালনাগাদ করা উচিত বলে মনে করেন।

Share.