শনিবার, নভেম্বর ২৩

শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা সেই কুলসুম বেগমকে গ্রেপ্তার

0

ঢাকা অফিস: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা সেই কুলসুম বেগমকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) কক্সবাজারের আলেকজাহান এসএম পাড়ার মোস্তাক আহমেদের বাড়ি থেকে ওই নারী ও তার এক সহযোগী শফিকুল ইসলামেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে ঢাকা থেকে রুহুল আমিন গুলজার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তার সূত্র ধরেই পরে শফিকুল ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুলসুম বেগম মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার স্বল্পসিংজুরী বাংগালা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে। রুহল আমিনের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ফুলহারা গ্রামে। শফিকুল ইসলামের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া গ্রামে। তারা একে অপরের পূর্বপরিচিত। স্বামীকে নিহত দেখিয়ে দায়ের করা সেই মামলায় কুলসুম নিজেকে রুহুল আমিনের জামগড়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে উল্লেখ করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্বামী আল-আমিন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তিনি। পরে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ স্বামীকে নিহত দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা নারী গ্রেপ্তার অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:৫১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১০:৫২, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ FacebookTwitterEmailWhatsAppLinkedInMessengerShare স্বামীকে নিহত দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা নারী গ্রেপ্তার কুলসুম বেগম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা সেই কুলসুম বেগমকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) কক্সবাজারের আলেকজাহান এসএম পাড়ার মোস্তাক আহমেদের বাড়ি থেকে ওই নারী ও তার এক সহযোগী শফিকুল ইসলামেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে ঢাকা থেকে রুহুল আমিন গুলজার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর তার সূত্র ধরেই পরে শফিকুল ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুলসুম বেগম মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার স্বল্পসিংজুরী বাংগালা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে। রুহল আমিনের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ফুলহারা গ্রামে। শফিকুল ইসলামের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়া গ্রামে। তারা একে অপরের পূর্বপরিচিত। স্বামীকে নিহত দেখিয়ে দায়ের করা সেই মামলায় কুলসুম নিজেকে রুহুল আমিনের জামগড়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে উল্লেখ করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্বামী আল-আমিন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তিনি। পরে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছালাম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ১২ নভেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে হাজির হন কুলসুম আক্তারের স্বামী আল-আমিন। তাকে নিহত দেখিয়ে মিথ্যা মামলা করে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কুলসুমের দায়ের করা হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল হোসেন জানান, শুক্রবার মামলার বাদী কুলসুম বেগমকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া সাজানো মামলার মূলহোতা রুহুল আমিন ও তার সহযোগী শফিকুল ইসলাম থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Share.