সোমবার, ফেব্রুয়ারী ২৪

রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়ে অত্যাচারী শাসকে পরিণত হয়েছিলেন বিগত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

ঢাকা অফিস:বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়ে অত্যাচারী শাসকে পরিণত হয়েছিলেন বিগত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার এফডিসিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও একুশের চেতনা’ বিষয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানানো হয়েছে।তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নিজেকে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারি মনে করতেন। নির্বিচারে গুম খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সব প্রতিষ্ঠানই তার একক নির্দেশে পরিচালিত হতো। হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট তার মর্যাদা হারিয়েছিল।তিনি আরও বলেন, একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। বিগত সরকার যে সমস্ত অপরাধ করেছিলো সেসব অপরাধে দন্ডিতদের বিচার হলে ফাঁসির রায়ও হতে পারে। দেশবাসী আশা করে, বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং সেটিই করা উচিত।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবসহ আওয়ামী শাসনামলে গত ১৫ বছরের সকল গুম-খুন, হত্যার বিচার যত দ্রুত করা যাবে ততই সাধারণ মানুষের আইনের শাসনের প্রতি আস্থা বাড়বে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর দেশ এখন গণতন্ত্রের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। দেশের এই সংকটকালে ছাত্র-জনতাসহ বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, তা না হলে দেশি বিদেশি অপশক্তিগুলো অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে জুলাই বিপ্লবে অর্জিত সুফলকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা করতে পারে।ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে একুশের চেতনা বৃথা যায়নি’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম ও সাংবাদিক মাঈনুল আলম।প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

Share.