বাংলাদেশ থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষকালে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আদমজী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এক গণমাধ্যম কর্মীসহ তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এবং রুহুল আমিন নামক এক ওয়ার্ড বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরেই সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এরই জের ধরে পরবর্তীতে বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময়ে তোফাজ্জল হোসেন নামক স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয় এবং এক গণমাধ্যম কর্মীর মোটরসাইকেলসহ মোট ৩ টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আহত গণমাধ্যম কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী মোস্তাক শাওন বলেন, তোফাজ্জলের অবস্থা ভালো না। ধারণা করা যাচ্ছে তার হাত এবং মাজার হাড্ডি ভেঙে গিয়েছে। তাকে নিয়ে খানপুর হাসপাতালে যাচ্ছি আমরা। এ বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা রুহুল আমিনকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে আজ বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মতির লোক রুহুল, সাজ্জাদ, পাকনা বাবু, রেহান সাহেবের নাতি শাকিলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহন, মানিকসহ ৪-৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তারা আদমজীর পুরান থানার সামনে ৩-৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার কয়েকজন লোককে মারধর করে আহত করেন। পাশাপাশি আমার অনুসারীদের উদ্দেশে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন। বর্তমানে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম গণমাধ্যমকে জানান, প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সামলানো গিয়েছে। কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলে, ওই পরিস্থিতিতে কাউকে আটক করা সম্ভব ছিল না।
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ, আহত- ১০
0
Share.