স্পোর্টস ডেস্ক: লিভারপুলের হলটা কী? দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিন প্রতিযোগিতায় তিন হার! প্রথমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ১-০ ব্যবধানে হার। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকের দল ওয়াটফোর্ডের কাছে ৩-০ গোলে হার। এই মধ্য দিয়ে টানা ৪৪ ম্যাচে জয়ের রেকর্ডে ছেদ পড়ে। মঙ্গলবার রাতে এফএ কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে চেলসির মুখোমুখি হয় লিভারপুল। এবার তারা হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। এই হারে শেষ ষোলো থেকেই ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল অলরেডদের। আর চেলসি জায়গা করে নিল কোয়ার্টার ফাইনালে। সবচেয়ে আতঙ্কিত হওয়ার বিষয় হল তিনটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের জালের নাগাল পায়নি সালাহ-ফিরমিনোরা! চেলসির বিপক্ষে হারের ব্যবধান আরো বাড়তে পারত। কারণ, স্টামফোর্ড ব্রিজে কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারেনি লিভারপুল। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই তাদের বিপক্ষে লিড নেয় চেলসি। এ সময় ডি বক্সের সামনে ব্যাক পাস করে লিভারপুলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। সেখানে ভুল পাসে বল পেয়ে যান উইলিয়ান। তার নেওয়া শট লিভারপুলের গোলরক্ষক আদ্রিয়ানের গায়ে লেগে জালে আশ্রয় নেয়। ম্যাচের বয়স যখন ১ ঘণ্টা তখন অলরেডদের ২-০ গোলে পিছিয়ে দেন রোস বার্কলি। এ সময় নিজেদের অর্ধে বল পাওয়ার পর একাই টেনে নিয়ে যান ডি বক্সের কাছে। ক্ষীপ্র গতিতে বল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকা বার্কলিকে কয়েকজন রোখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ডি বক্সের সামনে থেকে তার নেওয়া জোরালো শট আদ্রিয়ান কিছু বুঝে ওঠার আগেই জালে জড়ায়। বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দলের জয়ের জন্য আর কোনো গোলের প্রয়োজনও হয়নি। অবশ্য ভাগ্য সঙ্গে ছিল না লিভারপুলের। তারা প্রথমার্ধে পাঁচবারের প্রচেষ্টায়ও বল জালে জড়াতে পারেনি। আর সাদিও মানে দুর্দান্ত একটি সুযোগ মিস করেন। তাতে পরাজয়ই সঙ্গী হয় জার্গেন ক্লপের শিষ্যদের।
চেলসির কাছে হেরে এবার বিদায় নিল লিভারপুল
0
Share.