ডেস্ক রিপোর্ট: বয়স মাত্র আট, এর মধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে লিসিপ্রিয়া। জিতেছে বিশ্ব শিশু শান্তি পুরস্কারও। এবার সেই মেয়েটিই আলোচনায় এসেছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেয়া সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়ে। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব অ্যাকাউন্ট বা পেজ ভারতের অনুপ্রেরণাদায়ী নারীরা ব্যবহার করবেন। সেখানে সবাইকে নিজেদের জীবনসংগ্রামের কাহিনী শেয়ার করার আহ্বান জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে শুরু হয় ‘শি ইন্সপায়ারস আস’ নামে একটি ক্যাম্পেইনও। সেখানে অনেকের মধ্যে বেছে নেয়া হয়েছিল মণিপুরের বাসিন্দা লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজামকে। তাকে সম্মান জানাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি টুইটে এ তথ্য জানানো হয়। কিন্তু, লিসিপ্রিয়া পাল্টা টুইটে সরকারের সেই প্রস্তাব ফিরেয়ে দিয়ে লেখেন, ‘প্রিয় নরেন্দ্র মোদি, আমার আওয়াজ আপনাদের কাছে না পৌঁছালে আমাকে সম্মানিত করবেন না। অনেক অনুপ্রেরণাদায়ী নারীদের মধ্যে আমাকে মনোনীত করার জন্য ধন্যবাদ। অনেক ভেবেচিন্তেই এই সম্মান ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ জানা যায়, বাড়ি মণিপুরে হলেও লিসিপ্রিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে দিল্লিতে। গত ২ বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে সরব সে। পেয়েছে এ পি জে আবদুল কালাম পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা। ভারতীয় সংসদের বাইরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অন্য সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়েও দাঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। পরিবেশবাদী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভারতজুড়ে পদযাত্রা করেছে লিসিপ্রিয়া, অংশ নিয়েছে জাতিসংঘের একাধিক সম্মেলনেও। একারণে অনেকেই তাকে ‘ভারতের গ্রেটা’ বলে ডাকেন। যদিও এতে আপত্তি আছে লিসিপ্রিয়ার। তার কথায়, ‘আমি গ্রেটা থানবার্গের মতো হতে কিছু করছি না। হ্যাঁ, সে অবশ্যই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমাদের লক্ষ্য একই, কিন্তু আমার নিজের পরিচয় আছে, গল্প আছে। আমি ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু করি, গ্রেটা তখনও শুরু করেনি।’
মোদির সম্মাননা ফেরত: আলোচনায় শিশু লিসিপ্রিয়া
0
Share.