ডেস্ক রিপোর্ট: দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যের তাগিদ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ভাইরাস মোকাবিলার যৌথ কৌশল প্রণয়নে প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ইতোমধ্যে এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের নেতারা। বিশ্বের ১২৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষের। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহায়তার জোট সার্কভুক্ত আটটি দেশেই শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। শুক্রবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ নোভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমাদের গ্রহ। আক্রান্ত দেশের সরকার ও মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসস্থল দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের কোনও চেষ্টা বাদ দেওয়া উচিত হবে না’। অপর এক টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় একটি জোরালো কৌশল খুঁজে বের করতে আমি সার্ক দেশগুলোর নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব রাখছি। নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমরা ভিডিও কনফারেন্সেও আলাপ করতে পারি। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ তৈরি করতে পারি। একটি স্বাস্থ্যবান গ্রহের জন্য অবদান রাখতে পারি’।
উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান বিরোধে গত কয়েক বছর ধরে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে সার্ক। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের জের ধরে দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগ তোলে ভারত। পরে এ ‘অজুহাতে’ সম্মেলন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় দিল্লি। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান পরে একই সিদ্ধান্ত নিলে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরের কয়েক বছরেও আর ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।