ডেস্ক রিপোর্ট: স্পেনে ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ আংশিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে এমন পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। দেশটিতে ইতোমধ্যেই ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইতালি। দেশটি যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে নতুন করে আরও ৩ হাজার ৪৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ১৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে নতুন করে মারা গেছে ১৭৫ জন। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৪৪১। ইউরোপে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেন। দেশটিতে করোনার প্রকোপ যেন বাড়তে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যেই লোকজনের চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। খাবারের দোকান, ওষুধ, কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল বা জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। সবাইকে বাড়িতেই অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বার, রেস্তোরা এবং দোকান-পাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব ধরনের খেলাধুলা এবং অন্যান্য ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিনেমা, থিয়েটার এবং সুইমিং পুল ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজের রুটিনে আবারও ফিরে যাব এবং আবারও বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাত করব। এদিকে, শনিবার স্পেনের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন মনক্লোয়ায় পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে চলাফেরা করা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তারাও করোনায় আক্রান্ত। বেগোনা গোমেজ বর্তমানে মনক্লোয়ায়ই আছেন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন তিনি। স্পেনে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৯৩ জন। দেশটির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্পেনে ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ আংশিক অবরুদ্ধ
0
Share.