যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো বিমান হামলা এবং মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা পাঠানোর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুদ্ধপরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছেন বিক্ষোভকারীরা। ওয়াশিংটনসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরের বিক্ষোভ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৮০টি স্থানে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়ে ইরানি সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ৬২ বছর বয়সী সোলাইমানি মার্কিন কূটনীতিক ও নাগরিকদের ওপর শিগগিরই মারাত্মক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। ইরান ওই হামলার চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরোধী জোট অ্যাক্ট নাউ টু স্টপ ওয়ার অ্যান্ড এন্ড রেসিজম। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা। বিক্ষোভ হয়েছে হোয়াইট হাউসের বাইরে, নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার, শিকাগোর ট্রাম্প টাওয়ারের বাইরেও। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জার্মানির বার্লিন শহরের ব্রান্ডেনবার্গ গেটেও বিক্ষোভ হয়েছে। স্লোগান উঠেছে ‘ন্যায়বিচার নেই, শান্তি নেই, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ো’। একটি বিক্ষোভে যোগ দেন ৬৬ বছর বয়সী স্যাম ক্রুক। তার হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘মনোযোগ ঘোরানোর দরকার? যুদ্ধ শুরু করুন’। ইউক্রেন কেলেঙ্কারিতে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা শুরু করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই দেশ এখন এমন একজনের হাতে যিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন, আমার মনে হয় সেটা ডোনাল্ড ট্রাম্পই। তার মাথা এখন ঠিক নেই।’ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পেন্টাগনের নথি ফাঁস করে দেওয়া হুইসেলব্লোয়ার ড্যানিয়েল এলসবার্গ ও অভিনেত্রী জেন ফন্ডে। ফন্ডে বলেন, ‘এখানে উপস্থিত তরুণদের বলছি, তোমাদের জন্মের পর যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে তার সবই হয়েছে তেলের জন্য। তেলের কারণে আমরা আর মানুষের প্রাণ ও পরিবেশ নষ্ট করতে দিতে পারি না।’ মেরিল্যান্ডের বিক্ষোভে যোগ দেওয়া স্টিভ লেন বলেন, ‘মিছিল করা যথেষ্ট নয়, কিন্তু আমরা অন্তত বাইরে বের হয়ে কিছু বলতে পারছি…আর যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ যদি একই কাজ করে, তাহলে ট্রাম্পকে শুনতে হবে।’

 

Share.