স্কুল ছাত্রীকে নেশা খাইয়ে ও হাত-পা বেঁধে গণধর্ষন, গ্রেফতার- ৪

0

ঢাকা অফিস: গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠাণের নিমন্ত্রণ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এবং হাত-পা ও মুখ বেঁধে কিশোরী এক স্কুল ছাত্রীকে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগে চার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১’র সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা এলাকার সোহরাব উদ্দিন ছেলে শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সূজন (১৯), ত্রিশালের গোলাভিটা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬) এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০)। গ্রেফতারকৃত চার বন্ধু শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় নিজেদের পরিবারের সঙ্গে থাকতো। র‌্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে জানান, শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার বাসায় স্বামী সন্তানদের নিয়ে থেকে স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে হিসেবে কাজ করেন এক নারী। তার মেয়ে (১৫) স্থানীয় শিশু শিক্ষা মডেল স্কুল এন্ড একাডেমীর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি জন্মদিনের কথা বলে কিশোরী ওই স্কুল ছাত্রীকে (ভিকটিমকে) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এক প্রতিবেশী। সেখানে নিয়ে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিয়ে কৌশলে ভিকটিমকে তা পান করায় এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ৪ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনা অন্যদের কাছে প্রকাশ না করার জন্য ভিকটিমকে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন এবং ভিকটিমের পরিবার আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-১ এর কাছে সাহায্য কামনা করেন। র‌্যাব জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে র‌্যাব-১’র সদস্যরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রাজাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী শরীফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা হতে অপর তিন আসামী ইমরান হাসান সূজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা, আহসান ওরফে হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত তারা ৪ বন্ধু মিলে ভিকটিম ওই স্কুল ছাত্রীকে জন্মদিনের কথা বলে ডেকে নিয়ে নয়নপুর এলাকার একটি বাসায় জন্মদিনের কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশ্রিয়ে কৌশলে ভিকটিমকে পান করিয়ে অজ্ঞান করে একটি ঝোপের ভিতর নিয়ে হাত, পা ও মুখমন্ডল বেঁধে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। আসামী ইমরান হাসান সূজন তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ওই ঘটনা ভিডিও ধারণ করে তার ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেছিল বলে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে।

Share.