অন্তত দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ পরামর্শক কমিটির

0

ঢাকা অফিস: অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পরামর্শক কমিটি।কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ভার্চুয়ালি ৩০তম সভায় বসে। অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যেরা উপস্থিত থেকে বিস্তারিত আলোচনা করে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার  সুপারিশ করেছেন।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে উদ্বেগজনকভাবে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে সভায় মতামত ব্যক্ত করা হয়। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে নয় হাজার ৫২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও ছয় হাজার ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। দেশে মোট ছয় লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৩৯১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৩০ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ জুন তিন হাজার ৮০৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে লাখ ছাড়িয়েছিল করোনার রোগী। সেদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ছিল এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন। এ ছাড়া দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ। গত বছরের ৩০ জুন একদিনে সর্বাধিক ৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

Share.