অফকমের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিজিটিএনের বিবৃতি

0

ডেস্ক রিপোর্ট: চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) ব্রিটিশ সংস্থা অফকমের সিদ্ধান্ত ও রায়ের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সিজিটিএন-এর ওপর গত ৮ মার্চে অফকমের নেওয়া এমন সিদ্ধান্তে চীনা সংস্থাটি চরম হতাশা ব্যক্ত করে বিবৃতি দিয়েছে।বিবৃতিতে সিজিটিএন জানায়, সারাবিশ্বের দর্শকদের কথা বিবেচনায় রেখে একটি চীনা নিউজ চ্যানেল হিসেবে সিজিটিএন সুষম দৃষ্টিভঙ্গিসহ সঠিক, সময়োপযোগী এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও তথ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা তাদের প্রতিবেদনে দর্শকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী চীনা গণমাধ্যমের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সত্যতার সঙ্গে পরিবেশন করার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে।সিজিটিএন বিশ্বাস করে যে, হংকংয়ের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে ২০১৯ সালের সহিংস প্রতিবাদের কভারেজটি ন্যায্য, সত্যবাদী এবং যথার্থভাবে নিরপেক্ষ ছিল। দ্য পলিটিক্যাল অফেন্ডারস ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা ফৌজদারি বিষয় সম্পর্কিত আইন সংশোধনী বিল প্রবর্তনের পরে যে বিক্ষোভ হয়েছে তা হংকংয়ের সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। সেটি বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছিল, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছিল। কিন্তু কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া কার্যত অন্যান্য সমস্ত মতামত বাদ দেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠ ও দাবিকে খুব বেশি বড় করে দেখাচ্ছিল। বিপরীতে সিজিটিএন হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরোধিতা করে তাদের সহিংসতা ও ধ্বংসের বিস্তারিত চিত্র সবার সামনে উপস্থাপন করেছিল। এমন নিউজ করার জন্য অফকম চ্যানেলটির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা অন্যায় বলে দাবি করেছে সিজিটিএন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পিটার হামফ্রে, গুই মিনহাই এবং সাইমন চেংয়ের ক্ষেত্রে আমরাও বিশ্বাস করি যে সিজিটিএন-এর প্রতি অফকমের সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপগুলো অযৌক্তিক ও অন্যায়। বিতর্কিত এসব ইস্যু নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সিজিটিএন জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং সব পক্ষের তথ্য ও মতামতকে ভারসাম্য বজায় রেখে উপস্থাপন করেছে। এই প্রতিবেদনগুলোর চিত্রগ্রহণ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অফকমের নিয়ম নিশ্চিত করার জন্য চ্যানেলটি যথাযথ এবং পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছে।সিজিটিএন এর দাবি, চীনা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলক ও বৈধ রিপোর্টিং কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত রাখার জন্যই সিজিটিএনের প্রতি এমন বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে ব্রিটিশ সংসস্থাটি। কিন্তু জনস্বার্থে চীনের বার্তা এবং দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে এবং সত্য চিত্রটি আরও স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে এই নিষেধাজ্ঞা বাতিলের কোনো বিকল্প নেই।বৈশ্বিক নিউজ চ্যানেল হিসাবে, সিজিটিএন যে সমস্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোতে এর সম্প্রচার চালায় সেখানকার স্থানীয় নিয়মাবলী মেনে চলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং বিনিময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা ব্যক্তিদের সুষ্ঠু আচরণ আশা করে। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্মতিবদ্ধ বাধ্যবাধকতা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার মাধ্যমে চীন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে যোগাযোগ, বোঝাপড়া, আস্থা ও সহযোগিতা আরও সহজ করে তুলছি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে চ্যানেলটি।

Share.