বাংলাদেশ থেকে অভয়নগর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলায় মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বাড়ছে ছিনতাইসহ নানা রকম অপরাধ। উপজেলার নওয়াপাড়া রেলওয়ে এলাকা, বউবাজার, ড্রাইভারপাড়া, কলোনি, ভৈরব সেতু, মালেক হাজীর গোডাউনের পেছনে রেললাইন, রেলওয়ে কোয়ার্টার, চেংগুটিয়া, লক্ষীপুর, কাপাশহাটি, আমডাঙ্গা, দেয়াপাড়া,শংকরপাশা, রাঙ্গারহাট, বুইকরা, মাইলপোস্ট, রাজঘাট, গোপীনাথপুর, রানাগাতি, ধোপাদিসহ উপজেলার সর্বত্র। বিভিন্ন গ্রাম এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ফলে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। অধিক মুনাফা ও সহজে আমদানি করতে পারাই মাদক ব্যবসায়ীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপ নিয়েছে। জানা যায়, ২ মার্চ গভীর রাত ৩টার সময় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা বুরহান, সাদ্দাম নামে দুই যুবক ড্রাইভারপাড়া মাদক কারবারি খ্যাত ওহিদুলের বাড়ি ইয়াবা কিনতে এলে স্থানীয় এক সাংবাদিকের নজরে আসে। ওই যুবকের সাথে বাকবিতন্ডায় সাংবাদিক লাঞ্ছিত হন। ওই সাংবাদিক এই সব মাদক বিক্রি ও ব্যবসা বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এভাবে সব এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে সব থেকে মাদক বেচা বিক্রি পয়েন্ট ছয়টি। এগুলো হলো: কলোনি এলাকা, হাজি সাহেবের বাফার ঘাট, মালেক হাজির গোডাউনের পেছনে রেললাইনের উপর, রেলওয়ে কোয়ার্টার এলাকা, ভৈরব সেতুর আশপাশের এলাকা, চেংগুটিয়া ঘাট এলাকা। এসব এলাকায় নতুন ও পুরাতন মাদক কারবারিদের আখড়া হওয়াতে নওয়াপাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে যুবকেরা মোটরসাইকেল রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেবন করছে এইসব মাদক। মাদক বিক্রি করার জন্য মহিলারা ছদ্মবেশে রাস্তায় ঘোরাফেরা করেন। অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসানের নেতৃত্বে কয়েকদিনের মধ্যে বেশকিছু মাদক জব্দ করা হয়েছে । কিন্তু মাদকের গড ফাদারেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই যাচ্ছে। এ বিষয়ে মাদক নির্মূল অভিযানে থাকা অভয়নগর থানার এসআই শাহ আলম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং হচ্ছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।