অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

ঢাকা অফিস: অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, এদিকে ছাত্রলীগ মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে বলেছি, সবাই চলে গেছে মাঠে। কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের তারুণ্যের ছাত্রসমাবেশে ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই সমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জরুরি সময় ছাত্রলীগের ভূমিকার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখনও ছাত্রলীগই এগিয়ে এসেছিল। এই তারুণ্যের শক্তিই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। আমিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য ছিলাম। ক্যাবিনেটের সবাই কিন্তু ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ যেকোনো দুর্যোগে- দুর্বিপাকে ভূমিকা পালন করে। এক-এগারোর সময়ও আপোস করেনি। মানুষের মুক্তির জন্যই এই ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা। ছাত্রলীগ কখনোই পিছপা হয়নি। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যারা চোখে দেখেন না তাদের দশ টাকায় চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যারা চোখ থাকতেও সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না, তাদের উচিত দশ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করানো। আসলে তাদের মনের দরজায় অন্ধকার। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির কিছু নেতা বলছে পেনশন নাকি নির্বাচনি অর্থ সংগ্রহ করার জন্য। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না তাই অন্যেরটা দেখতে পারে না। আমি ছাত্রলীগকে বলব আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে, মানুষকে বলতে হবে পেনশনের টাকা খোয়া যাবে না। মানুষের ভবিষ্যতের জন্য এই পেনশন করা হয়েছে। ছাত্রলীগকে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ১০০ বছরের জন্য ডেল্টা প্লান করেছি। ছাত্রলীগকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতি কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। ছাত্রলীগকে অতন্দ্রপহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে করে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ছাত্রলীগকে ভূমিকা পালন করতে হবে। শুক্রবার বিকাল তিনটায় আনু্ষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সমাবেশ। তবে তার আগেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। সমাবেশে যোগ দিতে জুমার আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। রমনা পার্ক, মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড়, শাহবাগ, হাইকোর্ট মোড়, সেগুনবাগিচা এলাকায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আফিস ইনান।

Share.