আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মুখে প্রতিদিন বিএনপির আলোচনা কেন? : ফখরুল

0

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মুখে প্রতিদিন বিএনপির আলোচনা কেন? তাদের মতে তো বিএনপি রাজনীতিতে নেই। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন? প্রশ্ন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। বৃহস্পতিবার  জাতীয় প্রেসক্লাবের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেয় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকদিন কথা বলেন। তিনি অত্যন্ত সুবেশি মানুষ। চমৎকার একটি ঘরে, চমৎকার একটি আসনে বসে তিনি কথা বলেন। আমি শুনেছি তিনি এক সময় নাটক করতেন। তিনি অনেক সুন্দর করে কথা বলেন। তবে তার বক্তব্যের প্রতিপাদ্য একটাই বিএনপি। বিএনপির এই নাই, ওই নাই এসবই বলতে থাকেন তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। কারণ তারা জানেন, খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখলে নির্বাচনে যেটা করেছিলেন সেটাও করা সম্ভব ছিল না। গণতান্ত্রিক আন্দোলন যাতে না করতে পারে সেজন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছে। এক লাখ মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করে দিয়েছেন, তারপরও কিন্তু বিএনপি থেকে একটি লোককে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। বিএনপির এই অবস্থানে পৌঁছাতে তরিকুল ইসলাম সাহেবদের অনেক অবদান আছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭২ সালে আমরা এই স্বপ্ন দেখেছিলাম। তখন ক্ষমতায় আসলো আওয়ামী লীগ একইভাবে এই স্বপ্ন চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল তারা। সবশেষে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য বাকশাল গঠন করলো। আজকে ঠিক একইভাবে বিভিন্নভাবে ক্ষমতায় এসে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। শুধু মোড়ক আছে গণতন্ত্রের একটা, সেটা সামনে ধরে তারা ক্ষমতায় বসে আছে।ফখরুল বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়েছে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম তিন-চারগুণ বেশি কাদের জন্য? তাদের লুটপাটের জন্য। তারা সিন্ডিকেট তৈরি করছে, যে সিন্ডিকেট সব লুটে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ছে, কৃষকদের কি আয় বেড়েছে? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের কি আয় বেড়েছে? এই করোনাতে তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। বহু মানুষ আজ খেতে পারে না, আপনারা সেই অবস্থা তৈরি করেছেন। তারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন।

Share.