আজ সবার মুখে হাসি, বিএনপির মুখ কালো: কাদের

0

ঢাকা অফিস: সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজ সবার মুখে আন্দনের হাসি, আর বিএনপির মুখে শ্রাবণের আকাশের কালো মেঘে।’ শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন সকালে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরর পর শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে জনসভায় যোগ দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রের পরেও পদ্মা সেতু করে ফেললেন, এতেই মির্জা ফখরুলের মন খারাপ, বুকে বড় ব্যথা ও বড় বিষজ্বালা। এই জ্বালায় মরছে তারা।’ এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সন্তানহারা মায়ের কান্না, স্বামীহারা নববধূর কান্না, ভাইহারা বোনের কান্নায় এই পদ্মাপাড় ছিল ভারী। যেই পদ্মাপাড়ে সন্তান তার মাকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরি না আসায়। ঘাট থেকে মায়ের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সেই পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে বলে, এত টোল! এই অঞ্চলের মানুষ জানে পদ্মা সেতু তাদের জন্য কতটা উপকার বয়ে আনছে।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নেত্রীর নামে দিতে চেয়েছিলাম শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু। কিন্তু নেত্রী রাজি না। অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি না। কাজেই আজকে মাদারীপুর-শরীয়তপুরের জনগণের সামনে বলতে চাই, কাগজে লিখ নাম ছিঁড়ে যাবে; দেওয়ালে লিখ নাম মুছে যাবে, পাথরে লিখ নাম খয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখ নাম রযে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের নাম পদ্মার সঙ্গে যুক্ত করেননি। আজ বাংলার জনগণ জানে।’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গোটা জাতি আপনাকে স্যালুট করে। সারা বিশ্বে আজ আপনি প্রশংসিত। আপনি প্রমাণ করেছেন ইয়েস উই ক্যান। নিজের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাথা নত করেনি।’ ষড়যন্ত্রের কথা স্মরণ করে কাদের বলেন, ‘কী দুঃসময়, কী চ্যালেঞ্জ, কী কঠিন সময়। সবকিছুকে অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি। শেখ রেহানার কী অপরাধ ছিল। জয়ের কী অপরাধ ছিল, পুতুলের কী অপরাধ ছিল, ববির কী অপরাধ ছিল। একটা পরিবারকে টার্গেট করে অপমান করা হয়েছে। বাঙালি জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’ ‘এক দশক আগে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্যোগ জোরেশোরে শুরু করে। প্রকল্পের প্রথম দিকের কাজ গুছিয়ে এগোনোর পথেই বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে অর্থায়ন থেকে সরে যায়। সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে সাময়িক শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।’ উল্লেখ করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, ‘এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ব ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোকে বাদ রেখে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা নদী পদ্মার বুকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয় সাত বছরেই।’ বিতর্ক আর সমালোচনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে নিজেদের অর্থায়নে দেশের বৃহত্তম এ সেতুর উদ্বোধনের দিনে ওবায়দুল কাদের সেই সমালোচনার জবাব দেন। খরস্রোতা পদ্মায় নদীশাসনসহ সেতু নির্মাণের প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আজ বারে বারে মনে পড়ে এই পদ্মাপাড়ে মাওয়া, লৌহজং, জাজিরা, শিবচরের ভাঙন। কাজ শুরু করাই ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ।

 

Share.