আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

0

 ডেস্ক রিপোর্ট: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে চলমান বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৫০ জনে। পাকিস্তানের করাচিতেও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অন্যদিকে, টাইফুন বাভির প্রভাবে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শ্যানডং প্রদেশের বিভিন্ন শহরে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা।আফগানিস্তানে গেল দুইদিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবারও, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় পারওয়ান প্রদেশের চারিকর শহরে ভূমিধসের কারণে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে দেখা যায় উদ্ধারকর্মীদের। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকায় জীবিত উদ্ধারের আশায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।এদিকে, বন্যায় উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলও। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ভেসে গেছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। পানিতে পুরোপুরি তলিয়ে গেছে পারওয়ান প্রদেশের চারিকর শহর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু রাস্তাঘাট।আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপমন্ত্রী মোহাম্মদ কাসিম হায়দারি বলেন, এ পর্যন্ত অন্তত ১৩টি প্রদেশে বন্যার পানি ঢুকে পড়ার তথ্য পেয়েছি আমরা। তবে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পারওয়ান প্রদেশ। সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা করে যাচ্ছি আমরা।মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাকিস্তানেও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। গেল দুইদিনের অব্যাহত বারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির অধিকাংশ এলাকা। এতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।পাকিস্তানের এক নাগরিক বলেন, রাস্তাঘাট পুরোপুরি ডুবে গেছে। আমরা কোনভাবে বেঁচে আছি। নিচু এলাকাগুলো পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনধরনের সহায়তা পাচ্ছিনা আমরা।অন্যদিকে, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িষাতে। বন্যায় এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যূত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে জাজপুর জেলার প্রায় ৭ হাজার বাসিন্দাকে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত আরও বাড়ার আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।

Share.