মন্দা কাটেনি কক্সবাজারের পর্যটনে

0

ঢাকা অফিস: কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার ১২ দিন পার হলেও এখনো জমে ওঠেনি ব্যবসা। এ জন্য রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। বিশাল সাগর, উত্তাল ঢেউ। কার না ভালো লাগে। তাই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে সাগর, ঢেউ দেখার জন্য ছুটে আসে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ দীর্ঘসময় ঘরবন্দি ছিলেন। ৫ মাস পর সৈকত খুলে দেয়ার পর প্রথমেই বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে ছুটে আসেন। কিন্তু এখন সেই ছুটে আসাতে পড়েছে ভাটা।পর্যটকরা জানান, তারা মানসিক অবসাদ দূর করতেই কক্সবাজার এসেছেন তারা। তবে, রাস্তার অবস্থা এত বাজে যে হেঁটে আসতে পারছেন কিন্তু রিকশায় আসতে পারছেন না। সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার পর ভাল ব্যবসা হবার স্বপ্ন দেখেছিলেন হকার ও বার্মিজ দোকানিরা। কিন্তু ১২ দিন পরও ব্যবসা জমে না উঠায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। সৈকতের ফটোগ্রাফাররা জানান, আগে তারা দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করতেন; এখন দুই তিনশ’ টাকায় নেমে এসেছে। এ অবস্থায় চলতি পর্যটন মৌসুম শুরু হবার আগেই দ্রুত রাস্তা-ঘাট সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। জেলায় পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, রিসোর্ট ও ৫ শতাধিক রেস্তোঁরা। সৈকতের বালিয়াড়িতে সহস্রাধিক বার্মিজ দোকান আর রয়েছেন কয়েক হাজার হকার।

Share.