আফগানিস্তান ছাড়ল মার্কিন সৈন্য, এবার প্রস্তুত চীন

0

ডেস্ক রিপোর্ট: অবশেষে আফগানিস্থান ত্যাগ করল মার্কিন সৈন্যবাহিনী। এর সঙ্গে সঙ্গে শেষ হলো আফগানিস্থানে মার্কিনীদের দীর্ঘতম যুদ্ধ। তবে এ শূন্যস্থানকে সুযোগ হিসেবে দেখছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, ন্যাটো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ শূন্যস্থানে চীন তাদের অবস্থান শক্ত করবে।দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’। পাকিস্থানের সঙ্গে চীনের সুসম্পর্কের রেশ ধরে এবার শি জিনপিং সরকার চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে চীন প্রায় ৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থলগ্নি করেছে এবং তারই অংশ হিসেবে এবার এ প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান।লক্ষ্যমাত্রা ২০৪৯ সালকে সামনে রেখে চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্বল্পোন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বড় অঙ্কের ঋণ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তান ও চীনের এ সহায়তার আওতাভুক্ত হবে। ইতোমধ্যে চীন পাকিস্তানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘ডেইলি বিস্টের’ দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, পেশোয়ার থেকে কাবুল পর্যন্ত যেই হাইওয়েটি গেছে- চীনের ইচ্ছা সেটিকে বেইজিং পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা। এর মাধ্যমে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরে আফগানিস্তানের সংযুক্তি ঘটবে।এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের শক্ত অবস্থান তৈরি হচ্ছিল না। এবার যেহেতু আফগানিস্তানের ওপর থেকে মার্কিনিরা তাদের সব অধিকার তুলে নিল, সেক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আফগানিস্তানের আর বাধা থাকবে না।আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি বাগরাম থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটো বাহিনীর সব সদস্যকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তালেবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২ জুলাই) বাগরাম বিমান ঘাঁটি খালি করে দেওয়া হয়। রাজধানী কাবুল থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরের বাগরাম ঘাঁটি থেকেই ২০ বছর ধরে তালেবান এবং তার মিত্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ওপর বিমান হামলা চালিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রবাহিনী।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ মের মধ্যে সব মার্কিন সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওই সময়সীমা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আফগানিস্তানে থাকা সিংহভাগ মার্কিন সৈন্য দেশে ফিরে যাবে। কেবল দূতাবাস পাহারা দেওয়ার জন্য কতিপয় সৈন্য সেখানে থাকবে।বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ফলে আফগানিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনকে মাথাচাড়া দিতে দেবে না বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে তালেবান।

Share.