আবারও আলোচনা-সমালোচনায় খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ

0

ঢাকা অফিস: করোনা মহামারির মধ্যে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের তারিখের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার করোনা টেস্টের রিপোর্টে জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ তথা বিএনপি বিরোধীরা বলছে, করোনা টেস্টের রিপোর্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে লেখা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রিপোর্টে চেয়ারপারসনের জন্মদিন ১৫ আগস্টই লেখা হয়েছে ৮ মে ফটোশপে বানানো হয়েছে।রোববার (০৯ মে) আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি। বিষয়টা আমার কাছে যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতিতেই প্রাসঙ্গিক।’ তিনি ওই পোস্টে আরও বলেন, ‘এখন আপনি (বেগম খালেদা) বলছেন ৮ মে তে আপনি জন্মেছেন। তাহলে আমাদের রক্তক্ষরণ করিয়ে ১৫ আগস্ট যে জন্মদিন নিজে পালন করে এসেছেন, আপনার দলের নেতাকর্মীরা যে পালন করেছে আমাদের শোককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার জন্য ন্যূনতম ক্ষমা মানুষ হিসেবে আপনার এবং আপনার দলের নেতাদের চাওয়া উচিত।’এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,  ‘তথ্য: কোভিড টেস্ট রিপোর্টে খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৮ মে ১৯৪৬ হলো কীভাবে? প্রশ্ন হলো: ১৫ আগস্ট তাহলে খালেদা জিয়ার জন্মদিন হলো কীভাবে? যারা এটা বানালো তারাতো বিএনপিকেই বোকা বানিয়েছে! কাজেই বিএনপির উচিত ওই সব দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা যারা দলকে অহেতুক বিতর্কে ঠেলে দিয়েছে। ওরা আর যাই হোক বিএনপির শুভাকাঙ্খী নয়। আর বিএনপির উচিত এতদিন ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য ক্ষমা চাওয়া।’বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন আসলেই ৮ মে লেখা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর একেএম ওয়াহিদুজ্জামান তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি বলেন, একজন অসুস্থ মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন, এখন তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। সারা দেশ এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক লোকও তার (বেগম খালেদা) রোগমুক্তির জন্য দোয়া করছে। অথচ এই ইবলিশরা তার কোভিড নেগেটিভ হওয়ার সার্টিফিকেট ফটোশপ করে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছে। সবার জ্ঞাতার্থে ওনার টেস্টের আসল সার্টিফিকেটটি সংযুক্ত করা হলো।
তিনি দাবি করেন, এর আগেও তারা বেগম খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের কপি ফটোশপ করে ভুয়া প্রচারণা চালিয়েছিল।

Share.