ইফতারে মুড়িমাখা দিয়ে জিলাপি খেলে হতে পারে যেসব রোগ

0

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ইফতারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে জিলাপি। ইফতারে হরেক রকম পদের সাথে মুচমুচে জিলাপি ছাড়া অনেকের চলেই না। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ মিষ্টান্নটির চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।জিলাপির প্যাচালো আকৃতিতে মুগ্ধ হয়ে হরিচরণ বন্দোপাধ্যায় তার অভিধানে জিলাপির তুলনা দিয়েছিলেন নারীর মোহনীয় খোপার সাথে। আড়াই থেকে তিন প্যাচের এ মিষ্টান্নটি অনেকের পছন্দের শীর্ষে। ছোট থেকে বড় সকলের পছন্দ হওয়ায়, ভাজাপোড়া আর ঝালের সাথে ইফতারে পরিপূর্ণতা আনতে অনেকেই তাদের ইফতারে রাখেন এই জিলাপি।রমজান মাসে জিলাপির যোগসূত্র অনেক আগে থেকে। আমাদের দেশে জিলাপি জনপ্রিয় হলেও পারস্যের এক ব্যক্তি মুহাম্মদ বিন আল হাসান আল-বাগদাদীর রান্নার বইতে দশম শতকের শুরুতে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।বোম্বে, শাহী, রেশমি, নানান ধরনের জিলাপি তৈরি হয় আমাদের। আকার ও মানভেদে একেক রকম জিলাপির স্বাদও হয় ভিন্ন।পুরান ঢাকার বাসিন্দা মামির হোসেন মিয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, ইফতারে ঝাল খাবারের সাথে মিষ্টি জিলাপি ছাড়া আমাদের চলে না। আমাদের বাপ দাদাদের দেখি আসছি তারা মুড়ির সাথে জিলাপি দিয়ে খেয়েছে। আমরাও বংশ পরম্পরায় এ খাবারের লোভ সামলাতে পারি না।যাত্রাবাড়ী থেকে জিলাপি কিনতে চকবাজার আসা ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, ছেলেমেয়েরা ইফতারে জিলাপি খাওয়ার বায়না করেছে। আমদেরও সারাদিন রোজা রাখার পর ঝালের সাথে একটু মিষ্টি ছাড়া চলে না।পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পাপ্পুর জিলাপির দোকানের স্বত্বাধিকারী পাপ্পু মিয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, আমরা ৪০ বছর ধরে জিলাপির ব্যবসা করছি। আমাদের এখানে শুধু পুরাণ ঢাকার ক্রেতা না বরং দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে জিলাপি নেয়ার জন্য। আমাদের এখানকার শাহী জিলাপি সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ।তবে ইফতারে ভাঝাপোড়া ও ঝাল খাবারের সাথে জিলাপি এড়িয়ে চলার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডায়াটেশিয়ান মাহমুদা নাজনীন ইফতারে জিলাপি খাওয়ার বিষয়ে বলেন, ইফতারে ঝাল খাবারের সাথে জিলাপি খেলে এসিডিটিসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে। তাছাড়া দোকানে এসব জিলাপি আর্টিফিশিয়াল কালার ব্যবহার করা হয়। যা থেকে ক্লোন ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের সূত্রপাত হতে পারে।

Share.