ইলিশ রক্ষার অভিযানে পাঁচ হাজারের বেশি জেলে দণ্ডিত

0

 ঢাকা অফিস: মা ইলিশ রক্ষায় দেশজুড়ে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঁচ হাজার ৫৩৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শনিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এই ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষেধাজ্ঞার সময় এগুলো ছিল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ৪ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে আবারো ইলিশের সন্ধানে সাগরে ছুটছেন জেলেরা। মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন দেশের আট বিভাগে দুই হাজার ৬৪০টি মোবাইল কোর্ট ও ১৯ হাজার ৮১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২৪৩ কোটি ৩৬ লাখ চার হাজার টাকা মূল্যের ১২ কোটি ৯১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কারেন্ট জাল এবং দুই হাজার ৬৮৫টি অন্যান্য অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এসব অভিযানে মামলা হয়েছে ছয় হাজার ৯০৪টি। এসময়ে অবৈধভাবে ধরা ৪৫ দশমিক ৪১ মেট্রিক টন ইলিশ আটক করা হয়। নৌকা ও জাল নিলামে সরকারের আয় হয় ১৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দিক-নির্দেশনায় ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের তত্ত্বাবধানে ইলিশ সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের সঙ্গে ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা প্রশাসক সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও ১৫২ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা, নৌপুলিশ, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠন ও ব্যক্তিরা। অভিযান সফল করতে মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর গঠিত একাধিক তদারকি টিম মাঠে কাজ করেছে। এ বছর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মা ইলিশ রক্ষায় আকাশপথে হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। তাছাড়া নৌপুলিশ, পুলিশ, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে একাধিক যৌথ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

Share.