ঈদ কেন্দ্রিক সক্রিয় চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারীরা, আটক ৪১

0

ঢাকা অফিস: ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বেড়েছে। ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে তারা। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে দেওয়া হতো হত্যার হুমকিও। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ ও ছিনতাই চক্রের ৪১ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। তাদের মধ্যে ৩৩ জন চাঁদাবাজ ও ৮ জন ছিনতাকারী এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগৃহীত নগদ ১ লাখ দুই হাজার ৫৩৩ টাকা, মোবাইল ফোন সেট ৫৩টি, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৯টি সুইচ গিয়ার, ১০টি এন্টিকাটার, ১০টি ক্ষুর, ৭টি চাকু, ২টি চাইনিজ কুড়াল ও ৪টি রামদা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন- সোলাইমান (২৫), নুর হোসেন (৩০), মো. শাহজালাল (২২), আলী হোসেন (৪০), আরিফ হোসেন (১৭), সাইফুল ইসলাম (৫৭), মাসুম (২৭), মো. শিবলু (২৫), মোক্তার হোসেন (৩০), মো. মুন্না (২০), মো. সাইমন (৩২), মো. রনি (২৫), মো. আব্দুল মান্নান (৪৪), মো. বাবুল হাওলাদার (৫০), মো. আবুল কাশেম (৪৫), নুরুল হক (৪০), মো. রাকিব খান (২০), মো.মাসুদ (৪০), মো. জনি (৩২), মো. আকাশ (২০), মো. নাইম (১৯), মাজাহারুল ইসলাম ওরফে তামিম (১৮), মো. রাকিব (১৯), মো. নাইম বেপারী (১৯), মো. সজীব (২৫), বাবুল হোসেন (৩২), ইসমাঈল (৩৫), মো. রবিন (২৮), মো. সেলিম (৪০), মো. ইয়াসিন আরাফাত (২২), মো. নুর হোসেন (৬৫), মহব্বত হোসেন (৪০), মো. লিটন (৪২), মো. আরিফ (২৫), সাব্বির হোসেন জুবায়ের (২০), হেমায়েত হোসেন মামুন (৩৮), মো. ফারুক (৫০), শাহ পরান (২৬), কামরুল হাসান (২৫), মো. মিজান (২৪) ও মো. সেলিম (৩৬)। শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান, লেগুনা স্ট্যান্ড এবং পরে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে একটি চক্র। ফুটপাতের দোকানিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করতো তারা। এই কাজে ৪ থেকে ৫ জনের একটি গ্রুপ জড়িত।  তিনি বলেন, এছাড়া, ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। সুযোগ পেলেই পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিত। ইফতারের সময় এবং সাহরির পর তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না। খিলগাঁও-মালিবাগ রেল গেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, নাসিরের টেক হাতিরঝিল, শাহবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, পল্টন মোড়, গোলাপ শাহ’র মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি থাকে বলে জানান তিনি।

 

Share.