ঢাকা অফিস: কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমারছড়ায় উঠানের গর্তে মিলল আফরোজা নামে এক নিখোঁজ গৃহবধূর লাশ। পাঁচদিন পর গত শনিবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির উঠানের আঙিনায় পুঁতে রাখা এ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্য মতে, প্রায় নয় মাস আগে উত্তর নলবিলার আওয়ামী লীগ নেতা হাসান বশিরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে বদরখালী কলেজের প্রভাষক রাকিব হাসান বাপ্পীর সঙ্গে হোয়ানক পুঁইছড়ার ইসহাকের মেয়ে আফরোজার বিয়ে হয়। এটি দুইজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। অভিযোগ আছে, আফরোজার সঙ্গে বিয়ের পরও আগে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বাপ্পী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয় এবং বাপ্পী প্রায় আফরোজাকে নির্যাতন করতেন। এর মধ্যে গত ১২ অক্টোবর নিখোঁজ হন আফরোজা। কিন্তু তার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় বাপ্পী। এরপর থেকে আফরোজার পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে খোঁজ করেও তাকে পায়নি। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালারমারছড়া ফাঁড়ির পুলিশকে দায়িত্ব দিলেও তারা অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আফরোজার বড়ভাই মিজান। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই জানান, প্রথম স্ত্রীর পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান বাপ্পীর সঙ্গে থাকে। সৎ মাকে হত্যা ও লাশ গুমের সব বিষয় সে দেখে ফেলে। তখন শিশুটিকে বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। পরে পুলিশ কৌশলে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার সৎ মায়ের কথা জানতে চায়। এসময় বাবা ও অন্যরা মিলে তার সৎ মাকে খুন করে লাশ গুম করার বিষয়টি পুলিশকে জানায় সে। সেই সূত্র ধরে বাপ্পির বাড়ির আঙ্গিনায় পুঁতে রাখা অবস্থায় আফরোজার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, ‘আফরোজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
উঠানের গর্তে মিলল গৃহবধূর লাশ
0
Share.