উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বিজেপির, মমতা বললেন ‘বিশ্বাস করবেন না’

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে চরম উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে চলছে কথা ও প্রতিশ্রুতির লড়াই। নির্বাচন উপলক্ষে একাধিক স্থানে সমাবেশ করছেন মোদি থেকে অমিত শাহ। ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। অপরদিকে বিজেপিকে বিশ্বাস না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গোসাবায় দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অমিত শাহ। সুন্দরবনের উন্নয়নে আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের পাশাপাশি বিশ্বের পর্যটক টানতে রাস্তা, ব্রিজ, পানীয় জলের মতো পরিকাঠামো উন্নয়নের কথাও বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে সুন্দরবনকে আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন শাহ।গত বছর আমপান ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পর থেকে তৃণমূল অভিযোগ করে আসছে, আমপানের ত্রাণে সামান্য টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্র টাকা দিলেও তাতে দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি।তবে বিজেপির এই প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথা বলে বিদ্ধ করেছে তৃণমূল প্রধান। মমতা বলেন, আসামের ইস্তেহার নিয়ে আসুন বিজেপির। সেখানে সবাইকে স্থায়ী কর্মী করবে বলেছিল। কিছুই হয়নি। ইস্তেহারে বলবে, করবে না, মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে। দানব, দৈত্য, রাবণ থেকে সাবধান। আমরা মা দুর্গাকে ভালোবাসি। হিন্দু মুসলমান করবেন না।বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, বিজেপি ভেবেছিল, পায়ে মেরেছে, আমি বেরুবো না। কিন্তু আমি এক পায়ে যে শট মারব, তাতে মাঠের বাইরে ফেলে দেব। এখানকার কর্মীদের বলছি, ভোটের মেশিন ভালো করে পরীক্ষা করবেন। তিরিশটা করে ভোট হলে মেশিন দু’বার অফ-অন করবেন। ভোটের মেশিন খারাপ হলে মেশিন ঠিক হলে ভোট দেবেন, তাড়াহুড়া করবেন না। ভোটের মেশিনকে পাহারা দিতে হবে। রাজ্য পুলিশ নির্বাচন কমিশনের আওতায় হলে দিল্লির পুলিশকেও আওতায় আনতে হবে। ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে দিতে পারে বিরিয়ানি, চায়ে, তাই বিজেপির হাতের খাবার খাবেন না।তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপি এসে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে অন্যের মূর্তিতে মালা দিয়ে চলে যায় বিজেপি। বিজেপিতে মেয়েদের কোনো সন্মান নেই। বিজেপি মিথ্যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে? বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা বিশ্বাসঘাতকের দল।

Share.