উপসাগরীয় অঞ্চলে বরিস জনসনের বিশেষ দূতের পদত্যাগ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন উপসাগরীয় অঞ্চলে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিশেষ দূত লর্ড উডনি-লিস্টার। মাত্র দু মাস পূর্বেই তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ডাউনিং স্ট্রিট এক ঘোষণায় এ খবর নিশ্চিত করেছে। ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র ৭১ বছর বয়সী উডনি-লিস্টারের প্রশংসা করে বলেন, তিনি ছিলেন দেশের একজন অসামান্য সেবক। তিনি তার জীবনে দেশের জন্য যা করেছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রী তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বরিস জনসন যখন লন্ডনের মেয়র ছিলেন তখন তার চিফ অব স্টাফ ছিলেন লর্ড লিস্টার। ২০১৯ সালে জনসন যখন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হন তখন লর্ড লিস্টারকে নিজের প্রধান স্ট্রাটেজি এডভাইজার বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন।সর্বশেষ উডনি-লিস্টারকে সৌদি আরবের একটি বিড নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বরিস জনসন।মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে কিনে নিতে চাচ্ছে সৌদি আরব। তবে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এতে বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। এরইপ্রেক্ষিতে এ মাসের প্রথমে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত লর্ড উডনি-লিস্টারকে এমবিএসের অভিযোগ তদন্ত করে দেখার কথা বলেন। এর আগে ২০২০ সালে এমবিএস বরিস জনসনের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এতে তিনি জনসনকে প্রিমিয়ার লিগের নেয়া ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বাতিল করে সৌদি আরবের ৪১৬ মিলিয়ন ডলারের বিডটিকে পুনরায় পর্যালোচনা করার কথা বলেন। নইলে সৌদি-বৃটেন সম্পর্কে প্রভাব পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দেন এমবিএস।এরপর বরিস জনসন বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব দেন লর্ড লিস্টারের ওপর। লিস্টার কতোখানি এগিয়েছেন তা জানতে জনসনের মুখপাত্র ম্যাক্স ব্লেইন খোঁজ নিতে থাকেন। তবে ম্যাক্স দাবি করেন, সরকারের কোনো চাপ ছিল না লর্ড লিস্টারের ওপর। বরিস জনসন শুধু বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টি স¤পর্কে একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন।

Share.