এরদোয়ান সতর্ক করলেন আরেকটি চেরনোবিল যেন না হয়

0

 ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের দক্ষিণে জাপোরিঝিয়া এলাকায় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছাকাছি রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিভিভে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেখানেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাকি দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইউক্রেনের ওই পারমাণবিক স্থাপনা ঘিরে বর্তমান যে পরিস্থিতি সেটা নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। স্থাপনাটি বেসামরিকীকরণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এভাবে বলতে হবে, জাপোরিঝিয়ার কোনো ক্ষতিই হবে আত্মঘাতী।’ একই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এরদোয়ান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আরেকটি চেরনোবিল চাই না। আমরা এর একটা সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের ইউক্রেনীয় বন্ধুদের পাশে আছি।’ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জপোরিঝিয়া এলাকার আশেপাশে ইউক্রেন ও রুশ সেনাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হচ্ছে। যদিও কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার না করে পাল্টাপাল্টি একে অন্যকে দোষারোপ করছে। তিন নেতার বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করেছিলেন। তার মতে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ওই এলাকায় হামলা করছে। যদিও এ দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। গত বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, তারা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেনি। সেখানে শুধু পাহারা দেওয়ার জন্য সেনা রয়েছে। কিয়েভের বিরুদ্ধে সেখানে হামলার উসকানির অভিযোগ করে রাশিয়া। এর আগে গত বুধবার সকালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রুশ সেনাদের দখলে থাকায় সেটি নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে এবং পারমাণবিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। তিনি জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জরুরি পরিদর্শন করার অনুমতি দেওয়ারও আহ্বান জানান। গত মার্চ মাসে রুশ সেনারা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিল ইউক্রেন। দখলের আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গোলা হামলা হয়। হামলার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ছয়টি চুল্লির একটিতে আগুন ধরে যায়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিস্ফোরিত হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে সেখানে রাশিয়া একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।

Share.