এসব ঠিক না, আমি কোথাও কিছু পোস্ট করিনি: মৌসুমী

0

বিনোদন ডেস্ক: শোবিজে এখন অন্যতম চর্চার বিষয় ‘প্রিয়দর্শিনী’ খ্যাত চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ব্যক্তিগত জীবন, তার সংসার। বিতর্কিত অভিনেতা জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত হয়েছে ওমর সানীর সঙ্গে নায়িকার ২৭ বছরের দাম্পত্য। এ নিয়ে একটা অডিও বার্তা দেওয়া ছাড়া সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি মৌসুমী। কয়েক দফায় শুধু মনের ভাব প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রাম পেজে। সেই মাধ্যমেই ফের পাওয়া গেল মৌসুমীকে। শনিবার রাতে তিনি এসেছিলেন অভিযোগ জানাতে। প্রিয়দর্শিনী ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ফেসবুকে তার কোনো আইডি নেই। তবে তার নাম আর ছবি ব্যবহার করে কিছু ফেইক আইডি ও পেজ খোলা হয়েছে। সেসব থেকে দেওয়া উদ্ভট পোস্টের ওপর ভিত্তি করে সাংবাদিকরা নিউজ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। ওসব ফেইক আইডি ও পেজ বর্জন করার অনুরোধ জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মৌসুমী লিখেছেন, ‘এসব ঠিক না। আমি কোথাও কিছু পোস্ট করিনি। তাই আপনারা ওইসব আইডি বর্জন করুন। প্লিজ, আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে ওমর সানী-মৌসুমী জুটি বহু বছর ধরে আদর্শ দম্পতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। তবে সম্প্রতি জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে তাদের দাম্পত্য কলহ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। স্ত্রী মৌসুমীকে বিরক্ত ও অসম্মান করার অভিযোগ অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে জায়েদ খানকে চড় মেরেছিলেন ওমর সানী। জায়েদ খান আবার পিস্তল বের সানীকে নাকি গুলি করার হুমকি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে মৌসুমীর স্বামী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ জানান। জায়েদ খানকে সমিতির সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। কিন্তু মৌসুমী পরদিন স্বামীর বিপক্ষে গিয়ে জায়েদ খানের পক্ষে অডিও বার্তা দেন সংবাদমাধ্যমে। জানান, জায়েদ খান তাকে কোনো ভাবে বিরক্ত করেননি, বরং বড় বোনের মতো শ্রদ্ধা করেন। এর পরই চর্চা শুরু হয় সানী ও মৌসুমীর দাম্পত্য কলহ নিয়ে। যদিও দুজনের মধ্যকার সব সমস্যা মিটি গেছে বলে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করেন ওমর সানী। গত ২৭ বছর ধরে ‘কুলি’ সিনেমার এই নায়কের সঙ্গে সংসার করছেন মৌসুমী। ১৯৯৩ সালে ‘দোলা’ নামে একটি সিনেমায় ওমর সানীর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম অভিনয় করেন মৌসুমী। সেখান থেকে মন দেওয়া-নেওয়া। তিন বছর প্রেম করার পর ১৯৯৬ সালে বিয়ে। এই তারকা দম্পতির এক ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন এবং এক মেয়ে ফাইজা।

Share.