ওষুধের দোকানি পল্টন হত্যায় ১০ জনের ফাঁসির রায়

0

ঢাকা অফিস: এক যুগ আগে ময়মনসিংহের নান্দাইলের শিয়ালধরা বাজারের ওষুধের দোকানি মাজহারুল ইসলাম পল্টন হত্যায় দশ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। মামলার অপর ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে। ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান মঙ্গলবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের দশ আসামির মধ্যে একলাছ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, আবুল কাশেম ওরফে বাচ্চু মেম্বার, কবির মিয়া, আবুল কাশেম ওরফে আবু, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী ও বাদল মিয়া রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন। আর ফারুক মিয়া ও রুমা আক্তার পলাতক। খালাস পাওয়া সাত আসামির মধ্যে আফতাব উদ্দিন ওরফে আক্রাম আলী, বদরুল আলম ওরফে বদরুল, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, আবু সিদ্দিক ও দুলাল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত থাকলেও রফিক মামলার শুরু থেকেই পলাতক। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত থেকে ১ মার্চ সকালের মধ্যে কোনো এক সময় পল্টনকে তার ওষুধের দোকানের ভেতরে মাথা ও কপালে আঘাত করে হত্যা করা হয়। দোকানের ভিতরে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গামছা দিয়ে মরদেহ বেঁধে রেখে দোকানে তালা দিয়ে চলে যায় খুনিরা। পল্টনের বোন বিউটি আক্তার ১ মার্চ নান্দাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার ওসি জসিম উদ্দিন। এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা জানান, আসামিদের মধ্যে রুমা আক্তার ও ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পরে জামিন নিয়ে তারা পালিয়ে যান। “জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রুমা আক্তার একজন যৌনকর্মী। সেই রাতে পল্টনের ওষুধের দোকানে আসামিদের কয়েকজন রুমার সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়। পরে তারা টাকা দিতে অস্বীকার করলে রুমা ফার্মেসি মালিক পল্টনকে সেই টাকার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু পল্টন তাতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আসামিরা পল্টনকে পিটিয়ে হত্যা করে।” অভিযোগপত্রের ১৮ আসামির মধ্যে জব্বর মোহরী নামের এক আসামি মারা গেলে তার নাম বাদ দিয়ে ১৭ আসামির বিচার শুরু করে আদালত। অভিযোগপত্রের ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দ্রুত বিচার ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মঙ্গলবার দশ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করলেন। মামলার বাদী বিউটি আক্তার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

Share.