কঙ্গোতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে-২০৩

0

ডেস্ক রিপোর্ট: গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৩ জনে দাঁড়িয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিবিএস নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। কালেহে অঞ্চলের প্রশাসক থমাস বাকেঙ্গা বলেছেন, ‘এখানে বুশুশুতে ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০৩টি মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কিভু প্রদেশের কালেহে অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর পানি উপচে গিয়ে বুশুশু এবং ন্যামুকুবি গ্রামগুলি প্লাবিত হয়। নিয়ামুকুবিতে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজার বসেছিল। মিডিয়া অনুসারে, ভারী বর্ষণে এলাকার নদীগুলোর পানি উপচে অসংখ্য গ্রাম ডুবে গেছে, অনেক বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডেনিস মুকওয়েগে শনিবার ঘোষণা করেছেন, তিনি জনগণকে জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য এই অঞ্চলে সার্জন, অ্যানেস্থেটিস্ট এবং প্রযুক্তিবিদদের একটি দল পাঠিয়েছেন৷ তার ক্লিনিক দক্ষিণ কিভুর রাজধানী বুকাভুতে অবস্থিত। উল্লেখ্য, রুয়ান্ডা সীমান্তবর্তী দক্ষিণ কিভুতে প্রায়ই বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এই সপ্তাহের ভারী বৃষ্টির কারণে রুয়ান্ডায় বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে, যার ফলে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। সিবিএস নিউজ অনুসারে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রুয়ান্ডা এবং কঙ্গোতে ‘বিপর্যয়কর বন্যা’য় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করার আরেকটি দৃষ্টান্ত এটি এবং বিশ্ব উষ্ণায়নে অবদান নেই এমন দেশগুলি এর শিকার।’ ২০১৪ সালের অক্টোবরে কঙ্গোতে এই মাত্রার শেষ দৃষ্টান্তে প্রবল বৃষ্টিতে ৭০০টির বেশি বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ সেই সময় জাতিসংঘ বলেছিল, ১৩০ জনের বেশি ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে৷

Share.