করাচিতে পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত-৯

0

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের করাচিতে পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জঙ্গি এবং চারজন সীমান্তরক্ষী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর টানা প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশপ্রধানের কার্যালয়টি জঙ্গিমুক্ত ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী অভিযান শুরু করার পর অন্তত তিনজন জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বাকি দুজন অভিযানকালে গুলিতে নিহত হন। স্থানীয় পুলিশ সূত্র বলছে, বন্দুকধারীরা পুলিশের পোশাক পরেই ওই ভবনে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায়। গত জানুয়ারিতে পেশোয়ারে মসজিদে হামলার সময়ও জঙ্গিরা পুলিশের পরা ছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী জঙ্গি অংশ নেয়। এর আগে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছিল, করাচির শারিয়া ফয়সাল এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। সেখানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফয়সাল ঘাঁটি রয়েছে। এছাড়া পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ের পাশেই সাদ্দার পুলিশ স্টেশন। ওই পুলিশ স্টেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারাও হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে করাচি দক্ষিণের ডিআইজি ইরফান বালচ জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। জঙ্গিদের জীবিত অথবা মৃত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তখন অবশ্য হামলায় হতাহতের সংখ্যা বা এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি তিনি। পাকিস্তানে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। ২০১১ সালেও করাচির একটি নৌঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি। সবশেষ গত ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে জোহরের নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৮০ জনের বেশি মারা যান। আহত হন দেড় শতাধিক মানুষ। ওই হামলার দায়ও স্বীকার করে টিটিপি।

Share.