করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবার পেলো নগদ সহায়তা

0

ঢাকা অফিস: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে সরকার। তালিকাভুক্তদের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার নগদ, বিকাশ, রকেট ও শিউরক্যাশের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসাবে সরাসরি এ নগদ অর্থ পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সহায়তার জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি পরিবারে চারজন সদস্য ধরা হলে এই নগদ সহায়তায় উপকারভোগী হবে অন্তত দুই কোটি মানুষ। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোনো খরচ দিতে হবে না। এর আগে বুধবার (১৩ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ নগদ সহায়তা পাবেন এবং মোট তহবিলের মূল অংশ ১৪ থেকে ১৮ মে এর মধ্যে বিতরণ করা হবে।ভাতা পাওয়া উপকারভোগীদের তালিকায় রয়েছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেওয়া লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, গ্রামের মেম্বার, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে এই নগদ সহায়তায় উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়। আগে থেকেই রয়েছে ভিজিএফ কার্ডসহ সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সহায়তা পাওয়া মানুষগুলোর বাইরে এই ৫০ লাখ পরিবারকে এই নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং/অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্বলিত বোতাম টিপে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Share.