করোনাভাইরাস: লকডাউনে বিপদে বিদেশে চিকিৎসা প্রত্যাশী বাংলাদেশি রোগীরা

0

ঢাকা অফিস: অনেকদিন ধরে ভারতের চেন্নাইয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাচ্ছেন বাংলাদেশের ঢাকার লেকসিটির বাসিন্দা নূরুল ইসলাম মিয়া। তিনমাস আগে সর্বশেষ তিনি ডাক্তার দেখিয়ে আসেন। সেই সময় তাকে মুখে খাওয়ার কেমোথেরাপির ওষুধ দেয়া হয় এবং তিনমাস পরে আবার যেতে বলা হয়। তিনি ছয়মাসের ওষুধ কিনে নিয়ে এসেছিলেন। এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখে তার আবার চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তিনি যেতে পারছেন না। যেটুকু ওষুধ এনেছিলেন, তাও শেষ হয়ে গেছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং কবে যেতে পারবেন, তাও জানেন না। তিনি এক বার্তায় বলেন, “ওরাল কেমোথেরাপি দেয়ার পর একটু অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম। কিছু সাইড অ্যাফেক্ট দেখা দিয়েছে। ফুসফুসে একটু সংক্রমণ হয়েছে। দ্রুত আমার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।” “এই মাসেই যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে তো যেতেও পারছি ন। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা দরকার, কিন্তু সময় মতো যেতে পারলাম না। এখন অপেক্ষা করছি পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ার।”ঢাকার আরেকজন বাসিন্দা সানজিদা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতের চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল মার্চ মাসের ১৫ তারিখে। তার মায়ের আলসারের সমস্যা রয়েছে। নিজের সন্তান, স্বামীর চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। বড় বোনের ফলোআপ করানোর কথা। সবাই ভিসাও হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তারা কেউ আর যেতে পারেননি। তিনি  বলছেন, “বাংলাদেশে মাকে ডাক্তার দেখিয়েছি। তাতে খুব বেশি উপকার হয়নি। তাই এবার ভারতে দেখানোর কথা ভাবছিলাম।” “বড় বোনের হৃদরোগের সমস্যা আছে, ফলোআপ করাতে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোনটাই হলো ন। বাংলাদেশেও ডাক্তাররা তেমন বসছেন না। এখন যে কি করবো তাই বুঝতে পারছি না। সবমিলিয়ে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছি।

Share.