‘করোনারোগী প্রতি সরকারের ব্যয় ১৫ থেকে ৪৭ হাজার টাকা’

0

ঢাকা অফিস: করোনা মহামারিতে একজন সাধারণ রোগীর জন্য গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও একজন আইসিইউ ইউনিটে থাকা রোগীর জন্য ৪৭ হাজার টাকা সরকারের ব্যয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সম্পর্কে অংশীজনদের অবহিতকরণ’ সভা করেন মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনার ভ্যাকসিন এলেও তো সবাইকে রাতারাতি দেয়া সম্ভব হবে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাবেন ফ্রন্ট লাইনাররা। প্রাথমিকভাবে ডাক্তার, সেনাবাহিনী, বয়স্ক মানুষ, সাংবাদিক, স্কুলশিক্ষকরা অগ্রাধিকারের তালিকায়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও সরকারি সেবা নিতে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। খুব দ্রুতই করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়তে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। জাহিদ মালেক আরও বলেন, কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও অবগত করা হয়েছে। ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো যেভাবে করোনার জন্য কাজ করেছে তা অব্যাহত রাখা হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে। পিপিই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা ভবিষ্যতেও মজুদ থাকবে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোকে প্রচারণা আরো বাড়াতে বলা হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কিনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তহবিল আছে। বাড়তি অর্থের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন এলেও মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে।ভ্যাকসিন কি বিনামূল্যে দেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন বিনামূল্যে কিনা সেটা নির্ধারণ করা হয়নি। জনগণকে সেবা দিতে করোনায় ঠিক কত টাকা ব্যয় হয়েছে, সেটা নির্ধারণ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে ফান্ড আছে। প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করবো।আর ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে অন্য স্বাস্থ্যসেবার মতো মিনিমাম চার্জ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Share.