রবিবার, নভেম্বর ২৪

করোনার মধ্যেই বাংলাদেশীদের নিয়ে কুয়েতের প্রথম ফ্লাইট আজ

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  করোনা পরিস্থিতিতে কুয়েত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রথম দল আজ শনিবার ঢাকা আসবে। আগামী আরো চারদিন ধরে তারা দেশে আসবে। কুয়তের চোখে তারা অবৈধ অভিবাসী। প্রত্যাগত বাংলাদেশীদের ১৪ দিন কোয়ারিন্টাইনে থাকতে হবে। কুয়েতে এ পর্যন্ত ৯৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। যদিও মারা গেছেন মাত্র ১ জন। বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি (১২৩) সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় কুয়েতের একমাত্র মৃত ব্যক্তি ভারতীয়। বয়স ৪৬। গত ৪ এপ্রিল তিনি মারা যান। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা অবৈধ বাংলাদেশী ও ভারতীয় নাগরিকদের বিতাড়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। এরমধ্য আগে তারা অবৈধ বাংলাদেশীদের পুশ ব্যাক করবে। এটা শুরু হবে শনিবার থেকে। এরপরের ধাপে ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে অবৈধ ভারতীয়দের বহিষ্কার করবে। কুয়েতি সংবাদ সংস্থা কুনার বরাত দিয়ে খালিজ টাইমস এ খবর দিয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশীসহ বিদেশী বিতাড়নে তারা করোনার কারণ দেখাচ্ছে না। তারা বলছে, কুয়েত সরকার স্পন্সরদের মধ্যে যারা আইন ভঙ্গ করেছে এবং বিদেশী শ্রমিকদের মধ্যে যারা অধিকার খর্ব করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আনাস আল সালেহ গত সোমবার বলেছেন, চলতি মাসের মধ্যে বিনা জরিমানায় যারা দেশে ফেরার সুযোগ নেবে না, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, ভারতীয়দের আগে কেন বাংলীদেশীদের বেছে নেওয়া হল সেই বিষয়ে আরব টাইমসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। ওই খবরে দাবি করা হয়, গত বুধবার প্রায় ৫শ মিসরীয় যারা পুশব্যাকের জন্য চিহ্নিত তারা নির্দিষ্ট রিসিপশন সেন্টারে এসে অ্যামনেস্টির আবেদন (জরিমানা না দিয়ে দেশে ফেরা) করেছিল। এরকম আবেদন করার সময়সীমা শুক্রবার পেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখন বাংলাদেশী ও ভারতীয়দের পালা। ভারতীয়রা সংখ্যায় প্রায় ৪৫ হাজার। তাই আগে বাংলাদেশীদের পাঠিয়ে তাদের পুশব্যাকের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নেওয়া সম্ভব হবে।
৪ দিন আগে প্রায় ১৬শ মিসরীয়কে কুয়েত ফেরত পাঠাতে বাধ্য করেছে। এর দুদিন পরে তুরষ্কের ৯০০ এবং দেড় হাজার ফিলিপিনোকে বিমানে উঠতে বাধ্য করা হয়। কুয়েতে করোনা প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি, লকডাউন এবং কারফিউ চলছে। ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছূটি বাড়িয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ ও নিরাপত্তা মিডিয়া বিভাগের জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ব্যক্তিদের কোনও জরিমানা করা হবে না। এবং তাদের নিজ দেশে ফিরতে ফ্লাইটের জন্যও কোনো অর্থ দেয়া হবে না। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক এক ডিক্রি অনুসারে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের পরে প্রত্যাগতরা চাইলে ভবিষ্যতে কুয়েতে ফিরে আসতে পারবেন। বিমানে তুলে দেওয়ার আগে বাংলাদেশী পুরুষদেরকে কুয়েতের আল ফারওয়ানিয়াহ প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালিকা), অঞ্চল ১, সড়ক–৭৬ এ এবং বাংলাদেশী মহিলাদের আল-মুথানা প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালক), অঞ্চল ১, সড়ক ১২২ এ রাখার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছে কুয়েত। সকাল ৮ থেকে দুপুর দুটার মধ্যে তাদের অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।

Share.