করোনা প্রতিরোধে নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিন নিরাপদ, বলছে গবেষণা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের তৈরি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে নিরাপদ এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন বলে একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে। দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে গতকাল বুধবার এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়।গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় গত মে মাসে ১৩১ জন সুস্থ ব্যক্তির ওপর ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে ৮৩ জনের শরীরে ভ্যাকসিনসহ অ্যাডজুভ্যান্ট প্রয়োগ করা হয়। অ্যাডজুভ্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ২৫ জনের শরীরে অ্যাডজুভ্যান্ট ছাড়াই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এবং ২৩ জনের শরীরে প্লাসেবো ব্যবহার করা হয়। ওষুধ বা টিকা পরীক্ষার সময় কার্যকারিতাহীন প্রতিলিপি হলো প্লাসেবো।যে স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাঁরা সবাই অস্ট্রেলিয়ার দুটি এলাকার বাসিন্দা এবং সবার বয়স ৬০ বছরের মধ্যে। যাঁরা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন বা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের কাউকে এ পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।প্রাথমিক পর্যায়ের প্রথম পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কিনা, তার ওপর নজর দেন গবেষকরা। এ ছাড়া ভ্যাকসিনটি কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে কিনা, তাও দেখা হয়।পঁয়ত্রিশ দিন পর দেখা যায়, কারো শরীরেই ক্ষতিকর বা অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি। তবে দ্বিতীয়বার ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করার পর এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে সামান্য জ্বর দেখা যায়, যেটি একদিন স্থায়ী ছিল। এ ছাড়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর কিছু হয়নি।দ্বিতীয়বার ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পরও বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুধু আটজনের মধ্যে জয়েন্টে ব্যথা ও ক্লান্তি দেখা যায়।দ্বিতীয়বার ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর দেখা যায়, শরীরে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসের কার্যক্ষমতা নিষ্ক্রিয় করতে পারে।যাদের শরীরে ৩৫তম দিনে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজসহ অ্যাডজুভ্যান্ট দেওয়া হয়, তাঁদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা যায়, তা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠাদের শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডির তুলনায় গড়ে চার থেকে ছয়গুণ বেশি।অন্যদিকে দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি শরীরে টি-কোষ তৈরি করছে। টি-কোষ এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা, যা প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে এবং দেহের কোন কোষ সংক্রমিত হয়েছে, তা চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করতে পারে।গবেষণায় বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটির সঙ্গে অ্যাডজুভেন্টের ব্যবহারের পর যে সুবিধা পাওয়া যায়, সেটি পরিষ্কার।

Share.