করোনা ভাইরাসে ৬ লাখের বেশি মৃত্যু অতিক্রম ব্রাজিল

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ৬ লাখের বেশি মৃত্যু দেখল ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটি শুক্রবার এ দুঃখজনক মাইলফলক অতিক্রম করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ব্রাজিল সরকারের অব্যবস্থাপনা বিশ্বজুড়েই তীব্র সমালোচিত হয়েছে। মহামারীকে নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর বাধা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ক্ষুব্ধও করেছে। বোলসোনারো লকডাউনের বিপক্ষে অবস্থান নেন, করোনাভাইরাসের অনুমোদিত টিকাগুলো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জনসমক্ষে মাস্ক পরতে ধারাবাহিকভাবে অস্বীকৃতি জানান। সরকারি হিসাবে শুক্রবার দেশটি ৬ লাখ মৃত্যুর ঘর অতিক্রম করলেও ব্রাজিলে এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যে কমছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শুরুটা শ্লথ হলেও দেশটিতে এখন টিকাদানেও গতি এসেছে। এরই মধ্যে ব্রাজিলে টিকা পাওয়ার উপযুক্তদের ৭০ শতাংশের বেশি টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গেছেন; যুক্তরাষ্ট্রে এ হার ৬৫ শতাংশ।বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে কোভিডে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী ও মৃত্যু দেখা যুক্তরাষ্ট্র ৬ লাখ মৃত্যুর ঘর পেরিয়েছিল জুনে। “টিকা নিতে অনাগ্রহী লোকের হার খুবই কম, যা অন্য দেশগুলোকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। ব্রাজিলে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এটি (টিকা) খুবই গুরুত্বপূর্ণ,” বলেছেন সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান আলেক্সান্দ্রে নাইমে বারবোসা। ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের তুলনামূলক বেশি সংক্রামক ধরন ডেল্টাও ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে; তবে এরপরও দেশটিতে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমতে দেখা যাচ্ছে। এপ্রিলে দেশটিতে কোভিডে দৈনিক মৃত্যু ছিল ৩ হাজারের উপরে; এখন তার তুলনায় ৮০ শতাংশ কম মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬১৫ জনের মৃত্যুর কথা জানান, যা কোভিডে দেশটির মোট মৃত্যু নিয়ে যায় ৬ লাখ ৪২৫ জনে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের গামা বা পি১ ধরন যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ডেল্টার পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। গামা ধরনের বিস্তৃতিতে জনসংখ্যার বড় অংশের মধ্যে ভাইরাসকে মোকাবেলা করার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, এটিই ডেল্টার বিস্তারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলেছেন রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে অবস্থিত ফিভেল ইউনিভার্সিটির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ফার্নান্দো স্পিলকি।

Share.