ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ৬৭০ কোটি ডলারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রয়োজনীয় তহবিলে এই অর্থ জমা দিতে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দেশের সরকার, কোম্পানি ও বিলিয়নিয়ারদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দেশগুলো করোনা মহামারিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদের তাৎক্ষণিক সাহায্যের জন্য এই অর্থ প্রয়োজন। সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি এই অর্থ সহায়তা দেয়া না যায় তাহলে ওই দেশগুলোতে ক্ষুধার মহামারি, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা ও অধিক সংঘাত দেখা দেবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মার্ক লোকক বলেছেন, কোভিড-১৯ এখন সব দেশকে আক্রান্ত করেছে এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই গ্রহের প্রায় প্রতিটি মানুষ। তিনি বলেছেন, ২৫ মার্চ জাতিসংঘ ২০০ কোটি ডলারের যে তহবিল সংগ্রহের কথা বলেছিল তার পরিমাণ এখন বাড়ানো হয়েছে। কারণ, মানুষের আয় কমে গেছে।কর্মসংস্থান অদৃশ্য হয়ে গেছে। খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুরা টীকা ও খাবার পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, এই করোনা মহামারি তার সর্বোচ্চ আক্রমণ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ঘটাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে জাতিসংঘ যে ২০০ কোটি ডলারের আবেদন জানিয়েছিল তাতে এ পর্যন্ত সংগৃহীত হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। এতে অর্থ দিয়েছে বেশির ভাগই ইউরো থেকে। তার মধ্যে রয়েছে জার্মানি, বৃটেন, ইউরোপিয়ান কমিশন। এর বাইরে আছে জাপান, পারস্য উপসাগরীয় দেশ, কানাডা ও অন্যরা। নতুন করে যে আপডেট আপিল জানানো হয়েছে তাতে প্রাথমিক আবেদনে উল্লিখিত ৫৪টি দেশের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে ঝুঁকিতে থাকা আরো ৯টি দেশকে। এগুলো হলো বেনিন, জিবুতি, লাইবেরিয়ো, মোজাম্বিক, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিয়েরা লিয়ন, টোগো ও জিম্বাবুয়ে। এই তালিকায় আরো কিছু দেশ যুক্ত হতে পারে। এ বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে পরিস্থিতি।বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেছেন, ২৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্ত থেকে এ বছরের শেষ নাগাদ রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য দুটি পথ খোলা আছে। তা হলো, অর্থ সহায়তা করা এবং সরবরাহ চেইন মসৃণভাবে অব্যাহত রাখা। এ জন্য সম্পদশালী দেশগুলোর প্রতি সব সময়ই অর্থ সহায়তার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
করোনা মোকাবিলায় ৬৭০ কোটি ডলারের আবেদন জাতিসংঘের
0
Share.