কূপে পড়ে যাওয়া শিশু উদ্ধারে ৫ দিন ধরে প্রচেষ্টা

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  বাংলাদেশে সাত বছর আগে মানুষের হৃদয়কে নাড়িয়ে দেওয়া শিশু জিহাদকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকান দেশ মরক্কোতে। ১০০ ফুটেরও বেশি গভীর একটি কূপে পড়ে গেছে পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে। গত পাঁচ দিন ধরে শিশুটিকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। ফেসবুক এবং টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে একাধিক লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দৃশ্যটি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলেটি শুধুমাত্র রায়ান নামে পরিচিত। গত মঙ্গলবার রাতে শেফচাওয়েন প্রদেশের ইঘরান গ্রামের কাছে তার পারিবিারিক সম্পত্তির মধ্যে থাকা কূপে পড়ে যায়। তার তাৎক্ষণিক অবস্থা স্পষ্ট ছিল না। যদিও এলই৩৬০ নামে একটি স্থানীয় প্রকাশনার রিপোর্ট করেছে যে শ্বাসকষ্ট শনাক্ত করা হয়েছে এবং কূপে অক্সিজেন পাম্প করা হয়েছে। প্রকাশনাটি বলেছে যে রায়ানের কাছে একটি রিমোট ক্যামেরা নামিয়ে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে উদ্ধারকারীরা। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনুসারে, রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একটি হেলিকপ্টার তাকে নিকটতম চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। কূপের পাশে একটি সমান্তরাল গর্ত কূপের গভীরতায় খনন করা হয়েছে। তবে তার কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি অতিরিক্ত অনুভূমিক টানেল তৈরি করতে হবে। তবে শুক্রবার সমান্তরাল গর্তটি ভরাট করার সময় একটি বিপত্তি ঘটেছিল। এ জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টা বিলম্বিত হয়। ঘটনাস্থল থেকে লাইভ ভিডিওতে কূপের চারপাশে একাধিক আমেরিকান বিড়াল খননকারী দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকারীদের সঙ্গে। রায়ানের বাবা বলছেন, তিনি কূপটি মেরামত করছিলেন। ‘রায়ান আমার পাশেই ছিল, কখনসে সে পড়ে গেল আমি বুঝতে পারিনি।’ বলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কূপটি বেড়াবিহীন ছিল। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে খোলা থাকা গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যায় চার বছরের শিশু জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর স্থগিত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। এর কয়েক মিনিট পর কয়েকজন তরুণের তৈরি করা একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে পাইপের নিচ থেকে তুলে আনা হয় অচেতন জিহাদকে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Share.