ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ ও হাইড্রোকুইনোন থাকায় ১৭টি রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি নিষিদ্ধ করল বিএসটিআই

0

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ (মার্কারি) ও হাইড্রোকুইনোন থাকায় ১৭টি রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে  দেশে ক্রিমগুলোর আমদানি, বিতরণ, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) মো. নূরুল আমিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের রং ফর্সাকারী স্কিন ক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা শেষে ১৭টি স্কিন ক্রিমের নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফলে এসব ক্রিম উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিডিএস অনুযায়ী সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫ পিপিএম থাকার কথা। অথচ ১৭টি ক্রিমেই মার্কারির মাত্রা ৪০ পিপিএম থেকে ২২২ পিপিএম ছাড়িয়েছে। আর আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড ও বাংলাদেশের নাটোরের গোল্ড কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রিজের গোল্ডে হাইড্রোকুইনোন পাওয়া যায় ৮ থেকে ৩০ পিপিএম। নুর গোল্ড কসমেটিকস, পাকিস্তানের নুর হারবাল বিউটি ক্রিমে মার্কারির পরিমাণ ২২২ দশমিক ২১ পিপিএম। লাওয়া ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তানের পাস্ক ক্রিমে মার্কারির পরিমাণ ২১৯ দশমিক১৩ পিপিএম। এর মধ্যে ১৪টি পাকিস্তানের পণ্য, ১টি চায়নিজ ব্র্যান্ড এবং ১টি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত। আরেকটি পণ্যের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিপজ্জনক মাত্রার পারদ রয়েছে এমন ১৭টি ব্র্যান্ড হলো- গোরি হোয়াইটনিং ক্রিম, চাঁদনি হোয়াইটনিং ক্রিম, নিউ ফেস হোয়াইটনিং ক্রিম, ডু’ ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, ফাইজা ক্রিম, নূর হারবাল বিউটি ক্রিম, নূর হারবাল গোল্ড ক্রিম, হোয়াইট পার্ল প্লাস হোয়াইটনিং ক্রিম, প্যাক্স হোয়াইটনিং ক্রিম, ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট হোয়াইটনিং ক্রিম, ফেস লিফট হোয়াইটনিং ক্রিম, ফেস ফ্রেশ হোয়াইটনিং ক্রিম, চাইনিজ ডা. রাশেল (নাইট) ক্রিম, ৪-কে প্লাস হোয়াইটনিং ক্রিম, আনিজা গোল্ড হোয়াইটনিং ক্রিম ও গোল্ড হোয়াইটনিং ক্রিম। বিএসটিআই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে, মুখে মাখার এই ক্রিমগুলোতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ বেশি পারদ এবং হাইড্রোকুইনোন আছে। দীর্ঘমেয়াদে এসব ক্রিম ব্যবহারে ত্বকে নানাবিধ রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএসটিআই।

Share.