খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই ‘এক নম্বর’ জরুরি কাজ: ফখরুল

0

ঢাকা অফিস: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহ-অন্তরীণ থেকে পুরোপুরি মুক্ত করাই এখন এক নম্বর জরুরি কাজ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এমন মন্তব্য করেন।বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনআরসি)-এর উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভার আয়োজন হয়।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমার কাছে যা মনে হয়, বড় একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার এই যে গৃহ-অন্তরীণ হয়ে থাকা। তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী, দীর্ঘকাল তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁকে বের করে আনাটা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এটা এক নম্বর কাজ।’ ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে আছেন। তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা গণতন্ত্রের জন্য বেশি প্রয়োজন। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা সেগুলোকে দূর করা দুই নম্বর জরুরি কাজ।’বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা। শুধু রাজনৈতিক দলগুলো নয়, জনগণের মধ্যেও সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, এ দেশের মানুষ সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে। তারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছে। তারা স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়ী হয়েছে। তারা নিজেদের ভাষার অধিকার ফিরিয়ে আনতে জয়ী হয়েছে এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে জয়ী হয়েছে।’মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ এখনো গণতন্ত্রের এই যে সংগ্রাম, সমাজকে মুক্ত করার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামেও তারা জয়ী হবে যদি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন সৃষ্টি করা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সেই গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে সক্ষম হব।’জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন এবং ২০ দলসহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে ভোটের আগের দিন সরকারি দলের ‘ভোট ডাকাতির’ কথাও বলেন মির্জা ফখরুল।এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে কী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, কী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, কী সামাজিক ক্ষেত্রে এটা চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিকে সংকটগ্রস্ত করে ফেলেছে। সমস্ত কিছু কর্তৃত্ববাদী, একজনের হাতে, একটা গোষ্ঠীর হাতে। রাষ্ট্র, প্রশাসন, সংসদ, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ সমস্ত কিছু।সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতাকে টিকিয়ে রেখেছে অনিয়ম-অবিচারের বিস্তার হচ্ছে।বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, এখন বাংলাদেশে অণুবীক্ষণ কিংবা দূরবীক্ষণ কোনওটা দিয়েই বাংলার গণতন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গণতন্ত্র তো দূরের কথা, ভোটের নিশ্চয়তাই নেই।সাবেক সাংসদ বিএনআরসি‘র পরিচালক জহিরউদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য রাখেন।

Share.