খালেদা জিয়ার রাজনীতি ‘ডেড ইস্যু’, সাজা স্থগিতে আগের শর্তই বহাল থাকবে বলেও বিশ্বাস: আইনমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে পারা না পারা নিয়ে আলোচনা চললেও আইনমন্ত্রী বলছেন, তার কাছে এটি ডেড ইস্যু। এছাড়া খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি এবং পূর্ণ জামিন দেয়ার এখতিয়ার আদালতের, সরকারের নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগের দুটি শর্ত বহাল থাকবে বলেও বিশ্বাস আইনমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তখন তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালেও এখনও তার হাতে আসেনি বলে জানান আইনমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এবারের আবেদনেও তার মুক্তির শর্ত শিথিল করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামিন দেওয়ার এখতিয়ার কিন্তু আদালতের, সরকারের না। প্রথমবার যখন এই আবেদন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে সেই দরখাস্তের নিষ্পত্তি করে ফৌজদারি কর্যবিধির ৪০১(১) এর ক্ষমতা বলে বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে শর্তযুক্তভাবে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্ত করা হয়েছিল।‘সেখানে দুটি শর্ত আছে খালেদা জিয়া ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। সর্বশেষ তার মুক্তির মেয়াদ যখন বাড়ানো হয়েছে তখনও শর্তগুলো ছিল।’ এবার যে আবেদন এসেছে সেটির বিষয়ে কিছু দিনের মধ্যে জানা যাবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা মনে করি, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতে আগের যে শর্ত আছে, সেই শর্তই থাকবে। এটাই আমার বিশ্বাস।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। ২০২০ সালে দেশের মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে ছয় মাসের মুক্তি দেয়। শর্ত দুটি হচ্ছে, খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন দ্বিতীয়ত বিদেশ যেতে পারবেন না। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ কারাগার থেকে মুক্ত হন খালেদা জিয়া। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ দফায় ৬ মাস করে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। তাকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। খালেদা জিয়া বর্তমানে ঢাকার গুলশানের বাসায় রয়েছেন।

Share.